নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্র সরকারের তরফে বলা হয়েছিল অগ্নিপথ প্রকল্পে লিঙ্গ বৈষম্য না করে পুরুষ ও মহিলাকে সমান চোখে দেখা হবে। এমনকি মহিলাদের জন্য অগ্নিবীর প্রকল্পের ২০ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল উলটো ছবি। কেন্দ্রের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মত নৌবাহিনীতে (Indian Navy) জায়গা পেলেন না মহিলারা। ভারতীয় নৌবাহিনীতে (Indian Navy) প্রায় ৩০০০ অগ্নিবীরকে নিয়োগ করা হয়েছে, যার মধ্যে মহিলা অগ্নিবীর রয়েছেন ৩৪১ জন। যা শতাংশের হিসাবে প্রায় ১১ শতাংশ।
ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R Hari Kumar) বলেন, ভারতীয় নৌবাহিনী সরকারকে আশ্বাস দিয়েছে ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠবে ইন্ডিয়ান নেভি। নৌবাহিনী দিবসের আগে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের বিভিন্ন সামরিক ও গবেষণা জাহাজের গতিবিধির ওপর কঠোর নজরদারি রাখে নৌবাহিনী। তাঁর কথায় ‘সরকার আমাদের আত্মনির্ভর ভারত সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশিকা দিয়েছে। আমরা আশ্বাস দিয়েছি যে ভারতীয় নৌবাহিনী ২০৪৭ সালের মধ্যে আত্মনির্ভর হয়ে যাবে।’ প্রসঙ্গত ভারতীয় নৌবাহিনীতে এই প্রথম মহিলাদের নিয়োগ করা হল।
উল্লেখ্য, সেনা বাহিনীতে স্বল্পমেয়াদী চুক্তিভিত্তিক অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে আসে কেন্দ্র সরকার,। যা নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক হয়। এই প্রকল্প বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সেনা বাহিনীতে কাজ করতে ইচ্ছুক চাকরিপ্রার্থীরা। কেন্দ্র জানায় যে জওয়ানরা অগ্নিপথ প্রকল্পের আওতায় চুক্তিভিত্তিক কাজে যোগ দেবেন তাঁদেরকে সারা দেশ চিনবে ‘অগ্নিবীর’ (Agniveer) নামে। এই প্রকল্পের আওতায় চার বছরের জন্য ভারতীয় সেনায় নিযুক্ত হবেন অগ্নিবীরেরা। সেনা বাহিনীতে নিয়োগে মহিলাদের ২০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছিল। যদিও কার্যক্ষেত্রে তা রাখতে ব্যর্থ কেন্দ্র সরকার।