নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত বুধবার চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এখনও পর্যন্ত কোন দেশ সফল অবতরণ করতে পারেনি। সেই মেরুতে অবতরণ করেই ইতিহাস গড়েছে ভারত। এবার এই দক্ষিণ মেরু সম্পর্কিত প্রথম বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রকাশ করল ইসরো। যা চন্দ্রযান-৩ এর বিশাল সাফল্য।
বিক্রম ল্যান্ডারের থার্মাল প্রোব নথিভুক্ত করেছে যে কীভাবে তাপমাত্রা চন্দ্রপৃষ্ঠ, চন্দ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি এবং চন্দ্র পৃষ্ঠের গভীরে পরিবর্তিত হয়। ChaSTE (চন্দ্রের সারফেস থার্মোফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট) চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপীয় আচরণ বোঝার জন্য মেরুর চারপাশে চন্দ্রের উপরের মাটির তাপমাত্রা পরিমাপ করে। এতে একটি তাপমাত্রা অনুসন্ধানকারী নিয়ন্ত্রিত অনুপ্রবেশ প্রক্রিয়া রয়েছে। যার মাধ্যমে চাঁদের মাটির নীচে ১০ সেমি পর্যন্ত গভীরতায় পৌঁছনো যায়। প্রোবটিতে ১০টি পৃথক তাপমাত্রা সেন্সর লাগানো হয়েছে বলে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে।
চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। চন্দ্রপৃষ্ঠে তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। একটি গ্রাফচিত্রের মাধ্যমে সেই বৈচিত্র্য উপস্থাপন করেছে ইসরো। গ্রাফটিতে দেখা যাচ্ছে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে বিভিন্ন গভীরতায় তাপমাত্রার পরিবর্তন। এটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুর জন্য প্রথম এই ধরনের প্রোফাইল। বিশদ পর্যবেক্ষণ চলছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
২৩ অগস্ট চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে ভারত। চাঁদের অবতরণের স্থানটির নামকরণ করা হয়েছে শিব শক্তি পয়েন্ট। চন্দ্রযান-৩ এর তিনটি উদ্দেশ্যের মধ্যে দুটি সম্পন্ন হয়েছে। প্রথমত, চন্দ্রপৃষ্ঠে সফট ল্যান্ডিং ।দ্বিতীয়ত রোভার ঘোরানো ।তৃতীয়ত ইন-সিটু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছে ইসরো।