নিজস্ব প্রতিনিধি, দেরাদুন: যোশী মঠকে ‘ডুবন্ত শহর’ ঘোষণা করল উত্তরাখণ্ড সরকার। এখনও পর্যন্ত ৬০টি পরিবারকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। রয়ে গিয়েছে আরও ৯০টি পরিবার। রবিবার রাতের মধ্যে বাকি পরিবারগুলিকেও নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।
গারওয়ালের কমিশনার সুশীল কুমার জানিয়েছেন, যোশী মঠ থেকে ৬০টি পরিবারকে এখনও পর্যন্ত নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। বাকি ৯০টি পরিবারকেও দ্রুত সেখানে থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হবে। চেষ্টা চলছে, রবিবার রাতের মধ্যেই ওই ৯০টি পরিবারকে নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়ে আসার। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, যোশী মঠে মোট বাড়ির সংখ্যা সাড়ে চার হাজার। এর মধ্যে ৬১০টি বাড়ির অবস্থা ভয়াবহ। ওই সব বাড়ি কোনওভাবেই বসবাসের যোগ্য নয়। যোশী মঠের সর্বশেষ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তৈরি করা হয়েছে একটি সমীক্ষক দল। হোটেল, কয়েকটি গুরুদ্বার, দুটি কলেজে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে ত্রাণ শিবির। সেখানে রয়েছে দেড় হাজারের বেশি বাসিন্দা। গারওয়ালের কমিশনার সুশীল কুমার জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই যোশীমঠ জুড়ে জমি ক্ষয় হতে শুরু করে। কিন্তু গত এক সপ্তাহের মধ্যে মারাত্মক আকারে জমির ক্ষয় হতে শুরু করে। বড় ধরনের বিপত্তি এড়াতে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার রাতের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।
আরও পডু়ন আরও দু’দিন দুর্যোগ, হিমাচল-উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু বেড়ে ৫০