নিজস্ব প্রতিনিধি : ফের বিহারে রাজনীতির পালাবদলের ইঙ্গিত মিলল। নীতীশ কুমার ও লালু প্রসাদ যাদবের মধ্যে দুরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার জরুরি বৈঠক ডাকল রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। বেলা একটা নাগাদ এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। নীতীশ এনডিএতে গেলে কীভাবে সরকার বাঁচানো যায়, সেই কৌশল নির্ধারণ করতেই জরুরি বৈঠক ডেকেছে আরজেডি।
এদিন রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার পৌঁছলেও হাজির হননি উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। তেজস্বী যাদবের আসনে বসে পড়েন জেডিইউ নেতা অশোক চৌধুরী। পাশাপাশি রাজভবনের অনুষ্ঠানে কোনও আরজেডি বিধায়করাও উপস্থিত হয়নি। কিছুদিন ধরেই বিহারের রাজনীতিতে জল্পনা চলছিল। নীতীশ কুমার এনডিএতে যোগ দিতে পারেন, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয় রাজনীতির অন্দরে। এই পরিস্থিতিতে চুপ করে বসে নেই রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা লালু প্রসাদ যাদব। এদিন পাটনায় জরুরি বৈঠকে বসেন লালু প্রসাদ যাদব ও রাবরি দেবীরা। বিহারে আরজেডির নেতৃত্বাধীন সরকার গঠন করা যায়, তা নিয়ে জরুরি বৈঠক হয়। জানা যাচ্ছে, আরজেডির তরফে হিন্দুস্থানী আওয়াম মঞ্চ (সেকুলার) প্রতিষ্ঠতা জিতেনরাম মাঝির ছেলেকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিহারের বর্তমান জোট সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য কিছু জানাতে রাজি হননি। অন্যদিকে দিল্লি থেকে পাটনায় ফিরে নীতীশ কুমারের এনডিএতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা গেল বিজেপি নেতা সুশীল মোদীকে। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, দরজা কখনও স্থায়ীভাবে বন্ধ থাকতে পারে না। প্রয়োজন হলে দরজা খোলাও হতে পারে। উল্লেখ্য, এর আগেও বিজেপির সঙ্গে জোট করে বিহারে সরকার গড়েছিলেন নীতীশ কুমার।