নিজস্ব প্রতিনিধি: সময়ের হিসাব বলছে মাত্র ৮ মাস। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে(TMC) যোগ দিয়েছিলেন ত্রিপুরা(Tripura) প্রদেশ কংগ্রেসের(INC) সভাপতি পীযুষকান্তি বিশ্বাস(Pijush Kanti Biswas)। ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূল তাঁকে দলের রাজ্য সভাপতিও বানিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার তিনি আচমকাই সেই পদ থেকে পদত্যাগ করে দিয়েছেন। শুধু পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তাই নয়, দলের সদস্য পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও তিনি এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে কোনও কারণ তুলে ধরেননি তাঁর ইস্তফাপত্রে। বরঞ্চ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও দলের সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Abhishek Banerjee) ধন্যবাদ জানিয়েছেন দলে কাজের সুযোগ করে দেওয়া জন্য। তাঁর এহেন পদক্ষেপে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে বাংলার শাসক দল। ত্রিপুরায় তৃণমূলের দলীয় পর্যবেক্ষক হিসাবে থাকা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, ‘কেন উনি ইস্তফা দিলেন, খোঁজ নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন রাজ্য শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন পীযুষকান্তি। সেই দিন তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস ছেড়ে আসা আরও ৪ নেতানেত্রী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রাক্তন সাধারন সম্পাদক তেজন দাস, অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সভাপতি পূর্ণিতা চাকমা ও বিমল রুদ্র পাল। এখন এই ৪ জনই পীযুষের সঙ্গেই কংগ্রেসে ফিরে যাবেন কিনা তা জানা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে পীযুষ কংগ্রেসেই ফিরে যাচ্ছেন। সেই জন্যই তিনি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব থেকে যেমন সরে গিয়েছেন নিজে থেকে তেমনি ছেড়ে দিয়েছেন দলের সদস্য পদও। বুঝিয়ে দিয়েছেন, আগামী দিনে তিনি আর তৃণমূলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে চান না। অস্বীকার করার উপায় নেই যে এই ঘটনা ত্রিপুরার মাটিতে জোড়াফুল শিবিরকে ধাক্কা দেবে।