এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

২৪’এ জিতলেই রাজ্য ভাগ আর নয়া Delimitation Commission

নিজস্ব প্রতিনিধি: ছক বলুন বা প্ল্যান। সব রেডি। শুধু ২৪’র ভোটে জেতাই যা বাকি। জিতলেই কেল্লা ফতে। সব কিছু চলে আসবে হাতের মুঠোয়। যা খুশি করার ছাড়পত্রটাও জুটে যাবে। সেই সঙ্গে টানা আরও কয়েক দশক ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার রাস্তাটাও খুলে যাবে। মুছে যাবে সব বিরোধী গড়। ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে সব বিরোধী দল। শুধু কংগ্রেস(INC) মুক্ত ভারতই(India) নয়, বিরোধী মুক্ত ভারত। থাকবে শুধু বিজেপি(BJP)। নাহ কোনও মনগড়া গল্প নয়। নয় কোনও স্বপ্নও। এটাই কঠিন কঠোর বাস্তব যা পদ্মশিবির তো বটেই, সঙ্ঘ(RSS) পরিবারও ঠিক করে রেখে দিয়েছে। ২০২৪’র লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) বাহিনী জিতলেই সেই সব ছক, প্ল্যানের বাস্তবায়ন শুরু হয়ে যাবে। ভেঙে দেওয়া হবে একের পর এক রাজ্য। সেই সঙ্গে গড়া হবে নয়া Delimitation Commission (ডিলিমিটেশন কমিশন)।

আরও পড়ুন ‘1 to 1 Fight হোক, যে যেখানে শক্তিশালী, সে সেখানে লড়ুক’

ঠিক কোন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার? উদ্দেশ্যই বা কী? ১৯৭৩ সালে লোকসভা আসন ৫২৪ থেকে বাড়িয়ে শেষবার বৃদ্ধি পেয়েছিল। হয়েছিল ৫৪৫। এরপর ১৯৭৬ সালে সেই সিদ্ধান্তকে ২৫ বছরের জন্য বৈধতা দেওয়া হয়। ২০০১ সালে ডিলিমিটেশন কমিশন আসন সংখ্যার কোনও বদল ঘটায়নি। কিন্তু বেশ কিছু পুরাতন লোকসভা কেন্দ্র বাতিল হয় ও সমসংখ্যক নতুন লোকসভা কেন্দ্র তৈরি হয়। রাজ্যে রাজ্যে সেই ডিলিমিটেশন মেনে বিধানসভা কেন্দ্রগুলিরও পুনর্বিন্যাস ঘটানো হয়। বহু পুরাতন বিধানসভা কেন্দ্র বাতিল হয় ও সমসংখ্যক নতুন বিধানসভা কেন্দ্র তৈরি করা হয়। দেখা যায় রাজ্যগত ক্ষেত্রে লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যা এক রয়ে গেলেও জেলাগত ক্ষেত্রে তা বদলে গিয়েছে। কোনও জেলায় বেড়েছে আসন, আবার কোথাও বা তা কমেছে। কার্যত ২০০১ সালেই ২৫ বছরের জন্য লোকসভা আসনের সংখ্যা একই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নির্ধারিত হয়েছিল। সেইমতোই ২০২৬ সালে আবার আসন পুনর্বিন্যাস করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। আর এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার।

আরও পড়ুন ‘মানুষের ন্যায্য প্রাপ্য আটকে রেখেছে’, কেন্দ্রকে তোপ মমতার

বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের প্রথম পরিকল্পনা হল লোকসভায় আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৮৪৮ করার। আর সেটা করা হবে জনসংখ্যার ভিত্তিতে। কেননা গো বলয়ে জনসংখ্যা বেশি। সেখানে বিজেপির ক্ষমতাও বেশি। কার্যত সেই গো বলয়ই যে বিজেপির মূল জনভিত্তির গড় তাই নয়, সেখানে তার প্রধান বিরোধী শক্তি হল কংগ্রেস যার অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। গো বলয়ের এই রাজ্যগুলিতেই জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে হাতিয়ার যতটা সম্ভব আসন বাড়িয়ে নিতে চাইছে পদ্মশিবির ও সঙ্ঘ। ঠিক করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট এই ৪টি রাজ্যে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে অন্তত ৩০০তে নিয়ে যাওয়া। সেই সঙ্গে যে সব রাজ্যে বিজেপির আসন বাড়তে পারে সেই সব রাজ্যেও আসন সংখ্যা বাড়ানো। এর মধ্যে যেমন থাকছে অসম, হরিয়ানা, কর্ণাটক, তেমনি থাকছে তেলেঙ্গানা, কেরল, ঝাড়খণ্ড। এই রাজ্যগুলির মোট আসন সংখ্যা যাতে ২০০’র পাশাপাশি থাকে সেটাও দেখা হবে। এর বাইরে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে ধাক্কা দিতে থাকছে রাজ্য ভাগের পরিকল্পনা। সেই তালিকায় থাকছে উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, বিহার, বাংলা, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু। সঙ্ঘ পরিবার চাইছে ডিলিমিটেশন এবং লোকসভার আসন বৃদ্ধির প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হবে রাজ্য ভাগের পরিকল্পনাকেও। অর্থাৎ রাজ্য ভাগ, আসন পুনর্বিন্যাস এবং সেই নয়া পুনর্বিন্যাসের ভিত্তিতেই লোকসভার আসন বৃদ্ধি করা হবে। এমনভাবে রাজ্যভাগের সঙ্গে ডিলিমিটেশনকে যুক্ত করা হবে যাতে, বেছে বেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলির গড় ভেঙে দেওয়া যায়।

আরও পড়ুন তৃণমূলের নকল করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার বিজেপির

সঙ্ঘের ইচ্ছা, দেশজুড়ে ডিলিমিটেশন এমন ভাবে করতে হবে যাতে বিজেপি বিরোধী দলগুলি এর থেকে ফায়দা লুটতে না পারে। কিন্তু বিজেপির আসনসংখ্যা যেন ভাল রকম বৃদ্ধি পায়। রাজ্য ভাগের কাজ এমন ভাবে করতে হবে যাতে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক শক্তিশালী হয়। বিজেপি প্রভাবিত সেইসব পুরনো এবং নতুন রাজ্যে যাতে সবথেকে বেশি আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পায় সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। রাজ্যভাগের পরিকল্পনা এমনভাবেই করা হবে যাতে, বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি অন্তত ২৫ বছরের জন্য নিশ্চিত হয়ে যায়। গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে নতুন সংসদ ভবন যেখানে ৮৮৮জন সাংসদের বসার ব্যবস্থা আছে। খালি ২৪’র ভোটে জেতাই বাকি। জিতলেই রাজ্য ভাগ আর নয়া ডিলিমিটেশন কমিশন। তার মাধ্যমেই পূর্ণ হবে ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার ২৫ বছরের প্ল্যান। সঙ্গে কংগ্রেস মুক্ত ভারত, বিরোধী মুক্ত ভারত।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘জেএনইউ কখনও দেশ বিরোধী নয়’, বিজেপি নেতাদের অভিযোগ খারিজ উপাচার্যের

প্রথম দফার ভোটে ৪২ কেন্দ্রে লাল সতর্কতা

প্রথম দফার ভোটে ভাগ্য নির্ণয় হবে ৮ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

১২ কিলোমিটার পাহাড়ি দুর্গম পথ পেরিয়ে ভোটকেন্দ্রে কর্মীরা

লক্ষ্মীবারে লোকসানের মুখে বিনিয়োগকারীরা, ৪৫৫ সূচক কমল সেনসেক্স

তিহাড়ে চুটিয়ে আম-মিষ্টি খাচ্ছেন কেজরি, আদালতে দাবি ইডি’র

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর