নিজস্ব প্রতিনিধি, চণ্ডীগড়: দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেই পঞ্জাবে ক্ষমতায় এসেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। অথচ ভাগবন্ত মান মন্ত্রিসভার একের এক সদস্যের বিরুদ্ধেই উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ। এবার দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ পঞ্জাবের উদ্যান পালন মন্ত্রী ফউজা সিং সারারি। তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। আর ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই শনিবার মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ৬২ বছরের রাজনীতিবিদ। সারারির ইস্তফাপত্র গ্রহণও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান।
গত বছরের শেষের দিকে পঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ -উঠেছিল। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে বরখাস্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান। ওই ঘটনায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের ভাবমূর্তি খানিকটা হলেও কালিমালিপ্ত হয়েছিল। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে গত সেপ্টেম্বর মাসে উদ্যান পালন মন্ত্রী ফউজা সিং সারারির বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার এক অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই অডিও ক্লিপে শোনা গিয়েছে, কীভাবে টাকা তোলা যায় তা নিয়ে নিজের ঘনিষ্ঠ তারসেম লাল কাপুরের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
সামাজিকমাধ্যমে ওই অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ার পরেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে উদ্যানপালন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করার দাবি জানানো হয়। যদিও ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে যে কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছে তা তাঁর নয় বলে দাবি করেছিলেন ফউজা সিং সারারি। এমনকী এ বিষয়ে পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। কিন্তু এদিন তিনি ইস্তফা দেওয়ার পরেই প্রশ্ন উঠল, নির্দোষ হলে কেন মন্ত্রিসভা থেকে সরে গেলেন গুরু হর সহাইয়ের বিধায়ক? ইস্তফা পত্রে অবশ্য ব্যক্তিগত কারণেই মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন সারারি।