নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিদ্রোহী শিবিরের নেতা অজিত পওয়ার বুধবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন, এনসিপি সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শরদ পওয়ারকে। কিন্তু তার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই দলের জাতীয় কার্যকরী সমিতির বৈঠকে প্রবীণ মরাঠা নেতা জানিয়েছেন, ‘তিনিই এনসিপির সভাপতি পদে রয়েছেন।’ একই সঙ্গে প্রফুল পটেল-সহ বিদ্রোহী শিবিরে যোগ দেওয়া নেতা-বিধায়কদের দল থেকে বহিষ্কারের কথাও ঘোষণা করেছেন। যদিও পাল্টা হিসেবে অজিত পওয়ার কাকা শরদের ডাকা বৈঠককে ‘বেআইনি আখ্যা দিয়েছেন।’
রবিবার দুপুরে আড়াআড়িভাবে বিভাজিত হওয়ার পরেই বুধবার এনসিপির যুযুধান দুই গোষ্ঠী নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে নেমেছিল। তবে বিধায়কদের নিরিখে কাকাকে টেক্কা দিয়েছিলেন ভাইপো অজিত। আর তার পরেই এনসিপি’র প্রধানের পদ থেকে শরদকে অপসারণের ঘোষণা করেছিলেন। এমনকি বয়সের কথা উল্লেখ করে মরাঠা স্ট্রংম্যানকে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছিলেন শরদ পওয়ার। বৈঠকে সুপ্রিয়া সুলে, অনিল দেশমুখ, জিতেন্দ্র আহাদ-সহ জাতীয় কর্মসমিতির অধিকাংশ সদস্য হাজির ছিলেন। বৈঠক শেষে দলের মুখপাত্র পি সি চাকো জানান, ‘এনসিপির ২৭টি ইউনিট রয়েছে। প্রত্যেক ইউনিটই শরদ পওয়ারের পাশে রয়েছে। ফলে দলের সভাপতি হিসেবে তিনিই থাকছেন। মহারাষ্ট্রে সেনা-বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রী হিসেবে যারা শপথ নিয়েছেন তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তেও এদিন সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।’