এই মুহূর্তে




পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২ রাজ্যে মঙ্গল থেকেই এসআইআর শুরু, জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সব জল্পনার অবসান। আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) নির্বাচন সদনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলন থেকে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে  ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় পর্যবেক্ষণ (এসআইআর) সমীক্ষার নির্ঘন্ট ঘোষণা করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন ‘প্রথম পর্যায়ে বিহারে সফলতার সঙ্গে এসআইআর সম্পন্ন হয়েছে। এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাডু, পুদুচেরি, লাক্ষাদ্বীপ, কেরল, গুজরাত গোয়া, আন্দামান নিকোবর, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ  ও ছত্তিশগড়ে এসআইআরের কাজ চলবে।এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন জরুরি। তাই ১২ রাজ্যে এসআইআর শুরু করা হচ্ছে। যাতে নিবিড় সমীক্ষার কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য প্রতি বুথ পিছু একজন করে বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) থাকবেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না।তবে যারা অবৈধ ও অযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন, তাদের কারও নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না। তালিকা থেকে বের করে দেওয়া হবে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আশ্বাস দিয়েছেন, ‘বৈধ ভোটারদের নাম যাতে তালিকা থেকে বাদ না যায় তার জন্য বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও তিন-তিনবার প্রতি ভোটারের বাড়িতে পৌঁছবেন।’ এসআইআর শুরুর আগে যাতে ভোটার তালিকা কোনও কারচুপি না হয় তার জন্য এদিন রাত বারোটা থেকেই ভোটার তালিকা ফ্রিজ করা হচ্ছে। অর্থা‍ৎ ওই তালিকা নতুন করে কারও নাম সংযোজন করা যাবে না,   কারও নাম বাদও দেওয়া যাবে না।’

কমিশন জানিয়েছে, আগামী ১ নভেম্বর থেকে বুথ লেভেল অফিসাররা (বিএলও) বাড়ি বাড়ি ফর্ম নিয়ে যাবেন। প্রথমেই দিল্লি থেকে এনুমারেশন ফর্মের সফ্টকপি নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিকদের (ইআরও) পোর্টালে পাঠিয়ে দেবে কমিশন। তার পরে সেগুলি পাঠানো হবে ছাপার জন্য। এক জন ভোটারের জন্য দুটো করে এনুমারেশন ফর্ম ছাপবে কমিশন। এখন বাংলার ভোটার সংখ্যা প্রায় ৭.৬৫ কোটি। ফর্মগুলি প্রত্যেক ভোটারের বাড়িতে পোঁছে দেবেন বিএলও-রা। ফর্মের বাকি অংশ পূরণ করে উপযুক্ত নথি-সহ জমা দিতে হবে। একটি ফর্ম সংশ্লিষ্ট ভোটারের কাছে থাকবে। অন্যটি বিএলও নিয়ে যাবেন। বর্তমানে ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, এমন সব ব্যক্তি এনুমারেশন ফর্ম পাবেন। প্রত্যেক ভোটারের এনুমারেশন ফর্ম আলাদা। ভোটারের এপিক নম্বর, নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ-সহ ৯০ শতাংশ তথ্য ফর্মে ছাপাই থাকবে।

এসআইআরের জন্য প্রত্যেকের বাড়িতে ‘এনুমারেশন ফর্ম’ পৌঁছে দেবেন বিএলও-রা। সেই ফর্মের সঙ্গে কমিশনের বেঁধে দেওয়া ১১টি নথি দিতে হবে। রাজ্যে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের কোনও নথিই দিতে হবে না। ওই তালিকায় নাম দেখাতে পারলেই চলতি এসআইআরে তাঁদের নাম উঠে যাবে। এসআইআরে ১১টি নথি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট পরিচয়পত্র হিসাবে আধার কার্ড গ্রহণ করতে বলেছে। কমিশন জানিয়েছে, ওই ১১টির মধ্যে যে কোনও একটি নথি এবং ২০০২ সালের তালিকায় বাবা অথবা মায়ের নাম রয়েছে প্রমাণ করতে পারলেই নতুন তালিকায় নাম উঠবে।

কমিশনের নির্দিষ্ট ১১টি নথি কী কী?

১) কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন অথবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র

২) ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি

৩) জন্ম শংসাপত্র

৪) পাসপোর্ট

৫) মাধ্যমিক বা তার অধিক কোনও শিক্ষাগত শংসাপত্র

৬) রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র

৭) ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট

৮) জাতিগত শংসাপত্র

৯) কোনও নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার

১০) স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার

১১) জমি অথবা বাড়ির দলিল

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

যৌন সঙ্গমে বাধা, রাগে ছাদ থেকে স্ত্রীকে ছুড়ে ফেললেন পাষণ্ড স্বামী

কূপওয়ারায় খেলার মাঠে আচমকা বিস্ফোরণ, জখম ভবিষ্যতের সৌরভ-শচিনরা

রক্ষকই ভক্ষক! যৌন হেনস্থার চেষ্টা করায় পুলিশ কনস্টেবলকে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে গেলেন মহিলা

‘১০ মুসলিম মেয়েকে তুলে এনে বিয়ে করো’, হিন্দু যুবকদের পরামর্শ প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের

‘ট্রাম্পকে ভয় পান মোদি’, দ্বারভাঙার সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা রাহুলের

আল কায়দা যোগ! ল্যাপটপে লাদেনের বক্তব্য সংরক্ষণ করায় গ্রেফতার পুণের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ