এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে হলফনামা জমা দেওয়ার সুপ্রিম নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি : অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কি ভাবছে মোদি সরকার? এই নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত ও রবীন্দ্র ভাটের ডিভিশন বেঞ্চে বিয়ে, বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার সহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিন্ন আইন নিয়ে মামলার পিটিশন জমা পড়ে। তখন বেঞ্চ বলে যে, এটা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিভিন্ন দিক এবং এই নিয়ে সব বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে তিন সপ্তাহের মধ্যে যেন কেন্দ্র হলফনামা দাখিল করে। 

বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় ও আরেক আবেদনকারী লুবনা কুরেশি বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের জন্য যে বর্তমানে বিয়ে, ডিভোর্স, উত্তরাধিকারের ভিন্ন আইন রয়েছে, সেটা নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উদাহরণস্বরূপ তাঁরা বলেন, তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কের জেরে ডিভোর্স হতে পারে হিন্দু, খ্রিস্টান ও পার্সিদের। কিন্তু মুসলিমদের সেই নিয়ম নেই। আবার বন্ধ্যাত্ব হিন্দু ও মুসলিমদের ক্ষেত্রে ডিভোর্সের কারণ হতে পারে। কিন্তু আইনস্বরূপ সেটি হবে না ক্রিস্টান ও পার্সিদের ক্ষেত্রে। একই ভাবে দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে হিন্দুদের নির্দিষ্ট আইন আছে, কিন্তু অন্যদের নেই। সব ধর্মের মহিলাদের সমান অধিকার থাকা উচিত বলে আর্জি জানান উপাধ্যায়। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে যে, আমরা আগে দেখি কেন্দ্র কী বলে এবং সেইভাবে আমরা দেখব আইনি পথে কতটা কী করা যায়। সরকার সংসদে এই নিয়ে বিল আনবে কিনা, সেটাও দেখা দরকার বলে জানায় বেঞ্চ। সলিসিটার জেনারেল বলেন এগুলি আইনের প্রশ্ন, তাই তিন সপ্তাহ বাদে উত্তর দেওয়া হবে।

অন্যদিকে সর্বভারতীয় মুসলমান পার্সোনাল ল বোর্ডের তরফ থেকে এই পিটিশনের বিরোধিতা করে আবেদন করা হয়। সেখানে সওয়াল করা হয় যে, ঘুরপথে আবেদনকারী অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনার চেষ্টা করছেন। ২০১৫ সালেও এরকম আবেদন করেও পরে উপাধ্যায় প্রত্যাহার করে নেন বলে জানানো হয় মুসলিম ল বোর্ডের তরফ থেকে। দিল্লি হাইকোর্টেও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে উপাধ্যায়ের আবেদন ঝুলে আছে বলে জানানো হয়। এই সব তথ্য পিটিশনকারী চেপে গিয়েছেন বলে জানানো হয়। আদালত তখন উপাধ্যায়কে বলে যে, আপনি ঠিক করে পরের শুনানির আগে পিটিশন জমা দিন। উপাধ্যায় তখন বলেন, ‘আমি ইউনিফর্ম সিভিল কোড চাইছি না। আমি শুধু দেখাতে চাইছি যে মহিলাদের সংক্রান্ত নিয়মগুলিতে কতটা রকমফের আছে।’ এর ফলে সংবিধানের ১৪, ১৫ ও ২১ ধারা লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। বেঞ্চ বলে যে এগুলি সবই ইউসিসি-র অংশ। অভিন্ন বিবাহ আইন সংক্রান্ত যে মামলা ঝুলে আছে সেটিও এই মামলার সঙ্গে জুড়ে দিতে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অমেথিতে প্রার্থী রাহুল? জল্পনা বাড়িয়ে শুরু গৌরীগঞ্জের বাড়ি সংস্কারের কাজ

রামের ছবি দেওয়া প্লেটে বিরিয়ানি বিক্রি! বিনা দোষে দিল্লিতে আটক ব্যবসায়ী

রয়েছে রোলস রয়েস, টেসলা গাড়ি, ৫,৭৮৫ কোটির মালিক অন্ধ্রের টিডিপি প্রার্থী

দিল্লিতে স্বস্তির বৃষ্টি, ব্যাহত বিমান পরিষেবা

পটনা সাহিব থেকে কংগ্রেস প্রার্থী প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমারের ছেলে

বিপাকে কেজরি, জেলে থাকতে হবে আরও ১৪ দিন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর