নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আসন্ন লোকসভা ভোটে না লড়ার কথা জানিয়ে দিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী তথা লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ মীরা কুমার। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে (পূর্বতন টুইটার) এক পোস্টে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন দলিত নেতা জগজীবন রামের কন্যা। তবে ভোট রাজনীতিতে আর অংশ না নিলেও সক্রিয় রাজনীতিতে থাকবেন কিনা, সে বিষয়ে কিছু জানাননি লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
এদিন সকাল ১১টা ৩৩ মিনিটে তিনি ‘এক্সে’ এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে সামাজিক ন্যায় এবং মহিলাদের ক্ষমতায়ণ নিয়ে লাগাতার কাজ করে যাব।’ কী কারণে আচমকাই ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত তা ব্যাখ্যা করেননি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী। তবে তাঁর ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে।
I have decided not to contest the 2024 general elections.
I will continue to work for the cause of social justice, inclusive growth and the empowerment of women.
— Meira Kumar (@meira_kumar) March 23, 2024
বিহারের এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম হলেও প্রথমে রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন মীরা কুমার। ১৯৭৩ সালে ইন্ডিয়ান ফরেন সা্র্ভিসের আধিকারিক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ব্রিটেনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও সামলেছিলেন। এক যুগ কূটনীতিবিদ হিসাবে দায়িত্ব পালনের পরে আইএফএসে ইস্তফা দেন। ১৯৮৫ সালে ইস্তফা দেওয়ার পরে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির অনুরোধে কংগ্রেসে যোগ দেন। ওই বছরই উত্তরপ্রদেশের বিজনোর লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে সবাইকে চমকে দেন। বসপা নেত্রী মায়াবতী এবং রামবিলাস পাসোয়ানকে হারিয়ে সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ ও ১৯৯০ সালের লোকসভা ভোটে বিহারের সাসারাম থেকে দাঁড়িয়ে হেরে যান। ২০০৪ ও ২০০৯ সালে টানা দু’বার সাসারাম থেকে জয়ী হন। মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-১ সরকারে সামাজিক ন্যায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৯ সালে লোকসভার অধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হন।