নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মধুচন্দ্রিমায় গোয়ায় যাওয়ার কথা ছিল নব দম্পতির। তবে বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায় গোয়ার বদলে অযোধ্যায় নিয়ে গেলেন স্বামী। আর তাতেই রেগে গিয়ে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চাইলেন স্ত্রী। মধ্যপ্রদেশের এক মহিলা বিয়ের মাত্র পাঁচ মাস পরে তাঁর স্বামীর কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছেন। বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসাবে জানা গিয়েছে, তাঁর স্বামী তাকে মধুচন্দ্রিমা গোয়ায় নিয়ে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরিবর্তে মধুচন্দ্রিমায় তাকে অযোধ্যা এবং বারাণসীতে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। আর তাতেই স্বামীর ওপর রেগে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ চাইলেন স্ত্রী। গত ১৯ জানুয়ারি ভোপালের পারিবারিক আদালতে জমা পড়েছে এই বিবাহবিচ্ছিদের আবেদন।
বিবাহবিচ্ছেদে আবেদনকারী ওই মহিলা জানিয়েছেন, তার স্বামী আইটি সেক্টরে চাকরি করেন এবং ভালো বেতন পান। তিনি একজন কর্মজীবী মহিলা এবং ভাল উপার্জন করেন। তাঁর মধুচন্দ্রিমায় বিদেশে যাওয়া খুব একটা বড় বিষয় ছিল না। কোনও আর্থিক সীমাবদ্ধতা না থাকা সত্ত্বেও, তাঁর স্বামী তাকে বিদেশে নিতে অস্বীকার করেছিলেন। কারণ হিসাবে স্বামী বলেছিলেন, তার বাবা-মায়ের দেখাশোনা করতে হবে। তাই তাদের মধুচন্দ্রিমার জন্য গোয়া বা দক্ষিণ ভারতে যাবেন। তবে এরপরেই তিনি স্ত্রীকে কিছু না জানিয়েই অযোধ্যা ও বারাণসীর বিমানের টিকিট কাটেন।
স্ত্রীকে তিনি ভ্রমণের মাত্র একদিন আগে তাকে পরিবর্তিত ভ্রমণের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান। তারপরেই স্বামী বলেন, তারা অযোধ্যা যাচ্ছেন কারণ তার মা রাম মন্দির অভিষেক অনুষ্ঠানের আগে শহরটি দেখতে চেয়েছেন। তবে স্ত্রী সেই সময় ভ্রমণে আপত্তি করেননি । তীর্থস্থান থেকে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই স্বামীর কাছে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। জবানবন্দিতে তিনি আরও দাবি করেন, তার চেয়ে তার স্বামী পরিবারের সদস্যদের বেশি যত্ন নেন। আর সেই কারণেই বিবাহবিচ্ছেদ চান স্ত্রী।