এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

অতীতের মাও-ডেরার পুজোর থিম ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: জঙ্গল ঘেরা এক সময়ের মাওবাদী প্রভাবিত গ্রামের দুর্গাপুজোর থিম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে স্কুলবাড়ির আদলে। যেখানে দুয়ারে সরকারের শিবির বসানো হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের জন্য পৃথক কাউন্টার থাকবে। এবছর এই থিম করেই চমক দিতে চলেছে ঝাড়গ্রামের বিরিহাঁড়ি গ্রাম দুর্গোৎসব কমিটি।

শুধু মাওবাদী উপদ্রবই নয়, এক সময় বিরিহাঁড়িতে মাওবাদী নেতাদের বেদি পর্যন্ত বানানো হয়েছিল। প্রশাসনের দাবি মতো, এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ি থেকেই নাকি মাওবাদী সংগঠনে নাম লেখাত যুবকরা। কিন্তু রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার আসার পর থেকে ধীরে ধীরে পাল্টে গিয়েছে ছবিটা। আগে যেখানে সরকারি সুযোগ-সুবিধার নামমাত্র ছিল না, এখন সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের সমস্ত জনমুখী প্রকুল্পগুলি। আর তাতেই আমূল পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। মাওবাদী সংগঠনে নাম লেখানো যুবকদেরও সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। এবার শারদোৎসবে সেই বিরিহাঁড়ি গ্রামেই সেজে উঠছে মা-মাটি-মানুষের সরকারের কৃতিকর্ম।

ঝাড়গ্রাম শহর থেকে বিরিহাঁড়ির দূরত্ব প্রায় ৭ থেকে ৮কিলোমিটার। শহরের নামী স্কুল কুমুদ কুমারী ইনস্টিটিউটের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। কারণ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের পরিষেবা দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে দেওয়া হয়। আর এই শিবির বসে কোন স্কুলঘর বা সরকারি কোনও ভবনে। মণ্ডপে কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা দিতে তৈরি হচ্ছে একাধিক কাউন্টার। জোরকদমে কাজ চলছে মণ্ডপ গড়ার। থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই গড়ে উঠছে প্রতিমা।

বিরিহাঁড়ি পুজো কমিটির সদস্য জয়ন্ত মাহাত বলেন, ‘সাধারণ মানুষ রাজ্য সরকারের যে সব প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন সেটা আমাদের পুজোর থিম। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি বর্তমানে মানুষের মধ্যে সব থেকে বেশি আলোড়ন ফেলেছে। তাই থিমের নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার রাখা হয়েছে।’ কিন্তু কেন এই থিম? এ প্রসঙ্গে সৌম্য মাহাত বলেন, ‘দুয়ারে সরকার রাজ্য সরকারের খুব ভাল প্রচেষ্টা। এতে অনুপ্রাণিত হয়ে এই বিষয় নির্বাচন করেছি আমরা। জানি মানুষজনের ভিড় হবে। তাই অনেকটা ফাঁকা জায়গা নিয়ে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যাও। করোনা বিধি মেনেই সব হবে।’ প্রতি বছর এই পুজো কমিটি নতুন নতুন থিমের পুজো উপহার দেন দর্শকদের। তবে এবারের থিমটি বিগত দিনের সমস্ত থিমকে ছাপিয়ে যাবে বলেই আশাবাদী উদ্যোক্তারা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোজাগরী পুজো শেষে সবার অলক্ষ্যেই বিসর্জিত হবেন রাজবাড়ির দুর্গা

শিল্পের সন্ধানে জীবন্ত শিল্পীদের মণ্ডপে হাজির করেছে বহরমপুর

বামনগোলায় রায় বাড়ির দুর্গা পুজোয় নজর কাড়লেন মহিলা পুরোহিতরা

ধান্যকুড়িয়া গ্রামে, নিরামিষ বাল্যভোজনে মাতে বৈষ্ণব সমাজ

ঘাটালের হরিশপুরে পুজো মণ্ডপের থিম ‘মাটি আর মা’

বিদ্যাধরী নদীর তীরে উভয় সম্প্রদায়ের হাতে পুজীত হন দেবী দুর্গা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর