নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই ভোট কলকাতায়। তার প্রস্তুতি এখন শেষের পর্যায়ে। সেই ভোটে যাতে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র খামতি, ঘাটতি না থাকে তার জন্য এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন বৈঠক সেরে নিল রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশের সিপির সঙ্গে। একই সঙ্গে কমিশন বৈঠক সেরেছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গেও। যদিও সেই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল কলকাতার পরে রাজ্যের বাকি ১১১টি পুরসভার ভোট কোন দিন করানো হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা। কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেইও জানিয়ে দিয়েছে কলকাতার পুরনির্বাচনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুলিশের মাধ্যমেই দেখভাল করতে পারে। তবে যদি কোথাও কোনও গন্ডগোল হয় তাহলে তার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি আর কলকাতা পুলিশের সিপি-ই যে দায়ী থাকবেন সে কথাও বলে দিয়েছে হাইকোর্ট।
শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনার সৌরভ দাসের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ও কলকাতা পুলিশের সিপি সৌমেন মিত্র। সূত্রে জানা গিয়েছে ওই বৈঠকে কমিশনের তরফে দুই পুলিশ আধিকারিককেই নিরাপত্তা নিয়ে কোনওরকমের ঘাটতে খামতি না রাখার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের বলা হয়েছে আগামিকাল ঘন্টায় ঘন্টায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট কমিশনের কাছে জমা দিতে। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে শহরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার রাখতে আগামিকাল কলকাতায় ২৩ হাজার পুলিশ নামানো হবে। থাকবে কমব্যাট ফোর্স, কমান্ডো বাহিনী থেকে র্যাফও। এর পাশাপাশি এদিন কমিশন বৈঠক করেছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকার সঙ্গেও। মূলত যে সব পুরসভায় ভোট বাকি আছে সেগুলিতে কবে আর কখন ভোট করানো যেতে পারে তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে উভয়পক্ষেই। কেননা কমিশনকে আগামী ২৩ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে সেই মর্মে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।