নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সোমবার ৪ জুলাই না ফেরার দেশে পারি দিয়েছেন প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদার। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর গুণগ্রাহীমহল। শোকস্তব্ধ তাঁর পিতৃভিটে মেটেলি। সেখানেও শোকের ছায়া। কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে মেটেলি বাজারে পরিচালকের আত্মীয়ের বাড়িতেও। একসময় তরুণ মজুমদারের বাবা বীরেন্দ্র কুমার খাসনবীস মেটেলির বাসিন্দা ছিলেন। তাঁদের আসল পদবি ছিল খাসনবিস। পরে তরুণ বাবু নিজের নামের পাশে মজুমদার পদবি লেখেন বলে জানা গেছে তাঁর পরিবার সূত্রে। মেটেলি উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি কলকাতায় চলে এলে তাঁর ছোট ভাই অরুণ খাসনবিস মেটেলি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন।
২০১৮ সালে তিনি মারা যান।প্রায় বছর পাঁচেক আগে তরুণ মজুমদার স্বস্ত্রীক মেটেলি বাজারের বাড়িতে আসেন। বর্তমানে মেটেলির ওই বাড়িতে তরুণ মজুমদারের খুড়তুতো ভাই শৈবাল খাসনবিস ও ওনার দিদি সোনালী খাসনবিস থাকেন। তরুণ মজুমদারের অসুস্থতার খবরে বহুদিন আগেই কলকাতায় এসেছেন সোনালী খাসনবিস। ওনার মৃত্যু সংবাদে শোকের ছায়া নেমেছে ওই বাড়ি সহ মেটেলি বাজার এলাকায়।বাড়িতে থাকা ওনার খুড়তুতো ভাই শৈবাল খাসনবিস জানান,আমরা একজন অভিভাবককে হারালাম। কলকাতায় একসাথে থাকতাম আমরা। তরুণ মজুমদারের বাবার মৃত্যুর পর আমরা বাবা শৈলেন্দ্রকুমার খাসনবিস ওনার পড়াশুনা চালাতেন। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে তরুণ মজুমদারের সাথে।
গত ১৪ জুন এসএসকেএম হাসপাতালে শারীরিক জটিলতা নিয়ে ভর্তি হন তিনি। দীর্ঘ দু’দশক ধরে ভুগছিলেন কিডনির সমস্যায়। সঙ্গে ছিল হৃদযন্ত্রের সমস্যা ও ফুসফুসে সংক্রমণ। শারীরিক অসুস্থতা ও টানাপোড়েনের পর ৪ জুলাই সকাল ১১.১৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অনাড়ম্বর শেষযাত্রা হয়েছে তাঁর ইচ্ছা মতই। বামপন্থায় বিশ্বাসী পরিচালকের শেষ যাত্রায় তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী দেওয়া হয়নি ফুলমালা। এসএসকেএম হাসপাতালেই দেহদান করা হয় তাঁর।