নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: একে একে পঞ্চম বিয়ে করেছেন তিনি, কিন্তু একটাও টেকেনি তাঁর। শেষ বিয়েটা একেবারে ধুমধাম করে করলেও বছর ঘুরতে না ঘুরতেই স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে এই মূহুর্তে বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণিকে নিয়ে। একের পর এক সম্পর্কে জড়ানো, বিয়ে করা, যাই হোক না কেন, কখনই সম্পর্ক ছেদের জন্যে আক্ষেপ করেননি তিনি। বরাবরই অভিনেত্রীর নানা তাঁকে আগলে রেখেছেন। শফিরুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেও নানা তাঁকে সামলেছেন অভিনেত্রীকে।
নানা এবং তাঁর চোখের মণি রাজ্যকে ঘিরে ছোট্ট সংসার পরীমণি। মাঝে মধ্যেই নানার বিষয়ে নানান কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে জাহির করতেন অভিনেত্রী। বাবা-মায়ের কথা তাঁর মনে নেই, কিন্তু নানাই ছিলেন পরীমণির জীবনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ মানুষ, কিন্তু আজ সেটাও হারালেন অভিনেত্রী। নায়িকার শতবর্ষী নানা শামসুল হক গাজীই ছিলেন তাঁর শক্তি, সাহস, চলার পথের অনুপ্রেরণা। যেকোনও বিপদ-আপদে নানাই ছিলেন তাঁর একমাত্র আস্থার জায়গা। খবর এসেছিল যে, বেশ কিছুদিন ধরেই বয়স্ককালীন জটিলতার কারণে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন পরীমণির নানা। কিছুটা সুস্থ হলে বাড়িতে নিয়ে আসতেন অভিনেত্রী। কিন্তু সেই সুযোগ আর পেলেন না অভিনেত্রী। নানাকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে এখন দিশেহারা পরীমণি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দুটো নাগাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই মারা গিয়েছেন শামসুল হক গাজী। পরীমনির নানার মৃত্যুসংবাদ বাংলা দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর ব্যবস্থাপক তুরান মুনসি। এই মূহুর্তে নানার শেষকৃত্যের জন্যে তাঁর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে শ্বশানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন পরীমণি। ঢাকার ভান্ডারিয়ায় নানির কবরের পাশেই সমাহিত করা হবে অভিনেত্রীর নানাকে। নানাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর থেকেই ভীষণ উদ্বিগ্ন ছিলেন পরীমনি। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর নানাই পরীকে আগলে রেখেছিলেন।
পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসে বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরু করেন পরীমনি। এ সময়েও তাঁর একমাত্র অভিভাবক ছিলেন নানা। কয়েকদিন আগেই এক সাংবাদিককে পরী বলেছিলেন, ‘নানার এখন যে অবস্থা, কখন যে কী ঘটে যায়, বলা যায় না। আমি আসলে ভাবতেই পারছি না। নানা না থাকলে আমার যে কী হবে। কীভাবে থাকব আমি!’ এদিন পরীমণির সঙ্গে গাড়িতে আছেন পরীমনির পরিবারের সদস্যরাও।