আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক অনভিপ্রেত ঘটনার সাক্ষী রইল লুসেল স্টেডিয়াম। পর্তুগাল-উরুগুয়ের ম্যাচ চলাকালীন দর্শক মাঠে ঢুকে পড়ে। তার টি-শার্টে লেখা সেভ ইউক্রেন (ইউক্রেন বাঁচাও), রেসপেক্ট ফর ইরানিয়ান ওম্যান (ইরানের মহিলাদের সম্মান কর)। ম্যাচ বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ রাখতে হয়। মাঠে দ্রুত ঢোকেন তিন নিরাপত্তাকর্মী। ওই যুবককে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
কাতার প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, মাঠে ঢুকে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ দেখান ৩৫ বছর ম্যারিও ফেরি। সে ইতালির নাগরিক। পর্তুগালের হয়ে ব্রুনো ফার্নান্ডেজ প্রথম গোল করার পরে পরেই ম্যারিও ফেরি মাঠে ঢুকে পড়েন। তাঁর হাতে ছিল জাতীয় পতাকা।
জানা গিয়েছে কাতার স্টেডিয়ামে প্রবেশের জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। কাতার সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওয়ান লাভ আর্ম ব্র্যান্ড পরে মাঠে ঢোকা যাবে না। কোনও খেলোয়াড়ের হাতে ওই আর্ম ব্র্যান্ড দেখা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এলজিবিটি-দের সমর্থন জানিয়ে দেওয়া যাবে না কোনও স্লোগান। যদিও সেই সব নিষেধ উপেক্ষা করে একধিক অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী কাতার।
প্রথম ম্যাচে জার্মানির সব খেলোয়াড় মুখ ঢেকে মাঠে নামে। তাদের জার্সিতে লেখা ছিল আর্মব্র্যান্ড পরিধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ফিফা আমাদের মুখ বন্ধ করতে বাধ্য করেছে। নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছিল ইরান। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ চলছে অশান্তির আবহেই।
আরও পড়ুন ইরানের জাতীয় পতাকা থেকে উধাও গণপ্রজাতান্ত্রিক ইসলামিকের প্রতীক