নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে চিনের শীতকালীন অলিম্পিক বয়কট করে আমেরিকা। এছাড়াও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে চিন, মায়ানমার, উত্তর কোরিয়া ও বাংলাদেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আমেরিকা। আর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে বেজিং। দ্রুত এই নিষেধাজ্ঞা তোলার দাভবি জানিয়ে পাল্টা আমেরিকার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে শি জিনপিং-এর সরকার।
চিনের তরফে আমেরিকাকে কড়া বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, দ্রুত এই সিদ্ধান্তের বদল ঘটাতে হবে নইলে পাল্টা ফল ভালো হবে না। চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন আমেরিকার এই নিষেধাজ্ঞাকে নীতিভ্রষ্ট কাজ বলে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে দ্রুত এই ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে চিনের স্বার্থ ক্ষুন্ন করে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলাতে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমেরিকা যদি বেপরোয়া আচরণ করে তাহলে এর পাল্টা জবাব দেবে চিনও। তিনি আরও জানিয়েছেন, বেজিং সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের স্বার্থ রক্ষার জন্য তার সংকল্পে অটল। তাই আমেরিকা পাল্টা চাল দিলে ফল ভুগতে হবে, হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেজিং।
অর্থাৎ বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে ফের ঠাণ্ডা লড়াইয়ে চিন্তিত বাকি দেশগুলি। তবে চিনের এই গর্জন আচমকাই হয়নি। দক্ষিণ চীন সাগর, হংকং, তাইওয়ান ও জিনজিয়াং প্রদেশের ইস্যু নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকা ও চিনের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যা চরম পর্যায়ে পৌঁছায় আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের গণতান্ত্রিক সম্মেলনে তাইওয়ানের আমন্ত্রণ জানানোকে কেন্দ্র করে। এখন এটাই দেখার চিনের হুঙ্কারের পাল্টা কী জবাব দেয় আমেরিকা।