নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ৩০ বছর আগের স্কুল ছেড়েছেন। কিন্তু স্কুলে হওয়া অপমানের বোঝা আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন। যত দিন এগিয়েছে, অপমান করা শিক্ষিকার ওপর ক্ষোভ বেড়েছে ততই। আর তাই ৩০ বছর আগে হওয়া অপমানের প্রতিশোধ নিতে শিক্ষককে নৃশংসভাবে হত্যা করল প্রাক্তন ছাত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই শিক্ষকের ওপর তাঁর প্রাক্তন ছাত্রের রাগ এতটাই বেশী ছিল যে, তাঁকে সে মোট ১০১ বার ছুরি দিয়ে কুপিয়েছে। যদিও ঘটনাটি আজকের নয়, ৩৭ বছর বয়সী ওই ‘খুনি’ ছাত্র ২০২০ সালে এমন নৃশংসভাবে তার প্রাক্তন শিক্ষককে খুন করেছিল। কিন্তু গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আদালতে সে তার অপরাধ স্বীকার করেছে বলে খবর। আদালতে সে জানিয়েছে ১৯৯০ সালে যখন সে স্কুলে পড়ত তখন মৃত ওই শিক্ষিকা তাকে সকলের সামনে অপমান করেছিলেন। সেই অপমানের বদলা নিতেই সে তার শিক্ষিকাকে এমন নৃশংসভাবে খুন করেছে।
ঘটনাটি বেলজিয়ামের। অভিযুক্ত ওই ছাত্রের নাম গুন্টার উভেন্টস। সম্প্রতি সে তার তদন্তকারীদের জানায় যে, মৃত ওই শিক্ষিকা মারিয়া ভারলিন্ডেন তার সম্পর্কে ক্লাসে সকলের সামনে যে মন্তব্য করেছিলেন সে সাত বছর বয়সী স্কুলছাত্র ছিল। কিন্তু ক্লাসের সকল পড়ুয়ার সামনে করা ওই অপমান সে জীবনে ভুলতে পারেনি। এরপর সে ওই পুষে রাখা রাগের বসেই ২০২০ সালে এন্টওয়ার্পের কাছে হেরেন্টালসে ওই শিক্ষিকার বাড়িতে গিয়েই ৫৯ বছর বয়সী ভার্লিন্ডেনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ২০২০ সালের এই হত্যাকাণ্ডের আসল মাথাকে পুলিশ হাজার চেষ্টা করেও এতদিন খুঁজে পাননি। এমনকি খুনির ডিএনএ টেস্টের পরেও এই হত্যাকাণ্ড অমীমাংসিতই ছিল। এরপর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ১৬ মাস। ঘটনার ১৬ মাস পরে এই হত্যাকাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ যখন গুন্টার নিজে এসে পুলিশের কাছে এই অপরাধের কথা স্বীকার করে।
বেলজিয়ামের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই শিক্ষিকাকে ১০১ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। তাঁকে তাঁর নিজের বাড়িতেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁর স্বামী। পুলিশ তাঁর খুনিকে খুঁজে বের করতে না পারলেও এটা ভালোই বুঝতে পেরেছিল যে এটা শুধুমাত্র একটা খুনের ঘটনা, এর সঙ্গে চুরি কিংবা ডাকাতির কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ ওই শিক্ষিকার মৃতদেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয় তার পাশেই পড়েছিল তাঁর মানিব্যাগ এবং ওই মানিব্যাগে প্রচুর টাকা ছিল।