আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ইজরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত গাজায় অন্তত ১৩ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি শিশু এবং মহিলা। হামলায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ হাজার। রবিবার গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইজরায়েলের উপর হওয়া হামাস গোষ্ঠীর রকেট হামলায় নিহত হন ১,৪০০ জন। হামাস গোষ্ঠী পণবন্দি করে ২০০ জনের বেশি ইজরায়েলিকে। এর পাল্টা জবাবে টানা প্রায় দেড় মাস ধরে গাজায় নৃশংস গণহত্যা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনারা। বোমা বর্ষণের তীব্রতায় ইতিমধ্য়েই ভয়াবহ পরিস্থিতি প্য়ালেস্তাইনের গাজার। বন্ধ খাবারের সরবরাহ। অভুক্ত হাজার হাজার শিশু। সংঘর্ষ শুরুর দিন থেকেই গাজায় বন্ধ বিদ্যুৎ, জল ও জ্বালানি সরবরাহ। সাথে বেড়ে চলেছে মৃত্য়ু মিছিল। নিহতদের মধ্য়ে বেশিরভাগ শিশু এবং নারী।
গাজার এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত সাড়ে ৫ হাজার শিশু এবং সাড়ে ৩ হাজার নারী রয়েছে। এদিকে গত শনিবার গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে নতুন করে ইজরায়েলের হামলায় ৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। এই হামলায় বারবার লক্ষ্য বস্তু হয়েছে শরণার্থী শিবিরের স্কুলগুলি। এছাড়া অবরুদ্ধ গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়ায় ইজরায়েলি বিমান হামলায় আবু হাবাল নামের এক ব্যক্তির পরিবারের ৩২ জন সদস্য নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৯ শিশু ছিল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক ওই পরিবারের নিহতদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে।
হামাস নিধনের লক্ষ্যে গাজায় ভয়ঙ্কর হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। ইতিমধ্য়েই ভয়াবহ পরিস্থিতি গাজার। বাড়ছে স্থল অভিযানের তীব্রতা। ক্রমাগত চলছে বোমা বর্ষণ