আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কুখ্যাত খালিস্তানি উগ্রপন্থী হরবিন্দর সিং রিন্ডা পাকিস্তানে মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রিন্ডা এ + ক্যাটাগরির জঙ্গি ছিল। তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৩৫ খুন ও সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এ বছরের মে মাসে মোহলিতে পঞ্জাব পুলিশের ইন্টিলিজেন্স হেড কোয়ার্টারে রকেট হামলায় মূল অভিযুক্ত ছিল সে।
পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে সে দেশের উগ্রপন্থীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতে নাশকতা চালাত মৃত খালিস্তানি উগ্রপন্থী রিন্ডা। সে নিষিদ্ধ বাব্বর খালসার সদস্য ছিল। ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে জানা গিয়েছে, রিন্ডা লাহোরের এক হাসপাতালে ভর্তি ছিল। এ বছরের মে মাসে মোহলিতে পঞ্জাব পুলিশের ইন্টিলিজেন্স হেড কোয়ার্টারে রকেট প্রপেলড গ্রেনেড হামলা হয়। সেই হামলায় মূল অভিযুক্ত ছিল রিন্ডা। ওই মাসেই হরিয়ানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি উদ্ধার হয়। তার পিছনেও ৩৫ বছরের রিন্ডা ছিল বলে অভিযোগ। এই উগ্রপন্থীর ‘কীর্তি’র তালিকা কম নেই। নওনশরে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি অফিসে হাত গ্রেনেড নিয়ে হামলা চালায় রিন্ডা। দেশের নিরাপত্তার জন্য বাব্বর খালসার এই সদস্য মূর্তিমান বিভীষিকা হয়ে উঠেছিল। শুধু পঞ্জাব নয়, রিন্ডার জন্য মহারাষ্ট্র, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
পঞ্জাবের তরণতারণে জন্ম হলেও বড় হলে সে মহারাষ্ট্রের নন্ডে চলে যায়। কিন্তু খুনে হাত পাকায় তরণতারণেই। সেখানে ২০০৮ সালে ব্যক্তিগত শত্রুতায় একজনকে খুন করে সে। তরণতারণের সরপঞ্চ হত্যায়ও নাম জড়ায় রিন্ডার। শুধু খুন বা নাশকতা নয়, সীমান্তে মাদক প্রচারেও জড়িত ছিল সে। তার মৃত্যুতে কিছুটা হাঁফ ছাড়ল পঞ্জাব পুলিশ।