আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইমরান খানের পদত্যাগের পরেই তাঁর ছয় সহযোগীর ওপর পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে।
ইমরান খানের প্রধান সচিব আজম খান, রাজনৈতিক যোগাযোগ বিষয়ক বিশেষ সহায়ক শাহবাজ গিল, অভ্যন্তরীণ বিষয়ক প্রাক্তন উপদেষ্টা শাহজাদ আকবর, পঞ্জাবের ডিরেক্টর জেনারেল গহর নাফি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির পঞ্জাবের ডিজি রিজাওয়ানের ওপর বিদেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এফআইএ-য়ের তরফে জানানো হয়েছে, অনুমতি ছাড়া তাঁরা বিদেশ সফরে যেতে পারবেন না। পাশাপাশি পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বে থাকা আরসালান খালিদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এফআইএ ২০০৩ সাল থেকে স্টপ লিস্ট চালু করে। এর মাধ্যমে অযাচিত ব্যক্তিদের বিদেশ সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর আগে কোনও ব্যক্তির বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হলে এক্সিট কন্ট্রোল তালিকায় নাম তুলতে হতো। এই এক্সিট কন্ট্রোল তালিকায় তুলতে অনেক সময় লাগত। এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টে নাম তোলার আগেই নির্দিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে চলে যেত। ২০০৩ সালে এফআইএ তাই অযাচিত ব্যক্তির দেশ ছাড়া আটকাতে স্টপ লিস্ট ব্যবহার করে।
প্রসঙ্গত, শনিবার গভীর রাতে বিরোধীরা পাক সংসদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা ভোটে জিতে যায়। তবে এই অনাস্থা ভোট এড়াতে পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ একাধিক চেষ্টা করেছিল। পাক সংসদে ৩৪২ জনের মধ্যে ১৭৪ জন ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট দেন। যার জেরে ইমরান খান পদচ্যুত হন। এরপর রবিবা পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়, বিক্ষোভে ওঠে সেনা বিরোধী স্লোগান। পিটিআইয়ের তরফে ইদের পরে ‘জেলে ভরো’ আন্দোলন শুরু করবে বলে জানিয়েছে।