আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পিছিয়ে যেতে পারে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন। শুক্রবার পাকিস্তানের সিনেটে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচন পিছনোর প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। তবে সিনেটে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্যমন্ত্রী মুর্তাজা সোলানগি এবং নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)-এর সাংসদ আফনানউল্লাহ খান।
এদিন সেনেটে নির্বাচনের পরিবেশ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দেলোয়ার খান। পাকিস্তানের উচ্চ কক্ষে তিনি বলেন , ‘প্রাক্তন সাংসদ মহসিন দাওয়ার এবং জমিয়ত উলামা-ই-ইসলামের (জেইউআই-এফ) প্রধান ফজলুর রহমান-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর লাগাতার হামলা হচ্ছে। শুধু তাই নয় বালুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখাওয়াতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হামলার শিকার হচ্ছেন । তাই এই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া উচিত। আর এদিন দেলোয়ার বক্তব্যের পরেই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া প্রস্তাবটির অনুমোদন দেয় পাক সিনেট ।
তবে সিনেটের এই প্রস্তাব মানতে আইনগতভাবে বাধ্য নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। তাই ৮ ফেব্রুয়ারিতেই পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হওয়ার রয়েছে প্রবল সম্ভাবনা। আসন্ন নির্বাচনে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ৩৫ বছর বয়সী ছেলে লাহোর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিলাওয়াল ভুট্টো এই আসনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতা শায়েস্তা পারভেজ মালিক এবং পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই নির্বাচনে কে জয়লাভ করে সেই দিকেই তাকিয়ে আছে পালিস্তানের জনগণ। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান জুড়ে শুরু হয়েছে নির্বাচনের প্রস্তুতি।