নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: মুখ পুড়ল পাক সেনাবাহিনীর ‘অঙ্গুলিহেলনে চলা’ শাহবাজ শরিফ সরকারের। আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারিকে বেআইনি ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে অবিলম্বে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের সুপ্রিমোকে মুক্তি দেওয়ারও আদেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের সময়ে এজলাস ক্ষেই হাজির ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই ছেড়ে দেয় পুলিশ। আগামিকাল শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির হওয়ার জন্য ইমরানকে নির্দেশ দিয়েছে পাক শীর্ষ আদালত।
গত মঙ্গলবারই ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার মুখে আদালত চত্বর থেকে জোরজবরদস্তি করে গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। ওইদিনই ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুখ এক রায়ে জানিয়ে দেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর গ্রেফতার বৈধ। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছ পিটিআই। এদিন মামলার শুনানিতে জাতীয় দুর্নীতি দমন সংস্থার ‘দাদাগিরি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল বলেন, ‘দেশের অনেক ক্ষতি করেছে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবেলেটি ব্যুরো। দেশকে জেল খানা বানাতে দেব না। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে।’ এর পরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এক ঘন্টার মধ্যে আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন তিনি।
ওই নির্দেশের এক ঘন্টা ৪০ মিনিট বাদে ৭০ বছর বয়সী রাজনেতা তথা প্রাক্তন ক্রিকেটারকে আদালতে পেশ করে ইসলামাবাদ পুলিশ। শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর গ্রেফতারিকে বেআইনি ঘোষণা করে অবিলম্বে তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দেন। পাক রেঞ্জার্সের গ্রেফতারের কোনও আইনি অধিকার নেই বলেও জানান বিচারপতিরা। ইমরানের গ্রেফতারির পরে গত তিনদিন ধরে পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভে অশান্ত দেশ। এদিন পিটিআই সমর্থকদের শান্ত থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতিরা। নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুক্তি দেওয়া হয় ইমরান খানকে।
.