আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফ নির্বাচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মন্ত্রিসভায় যোগদান নিয়ে পাকিস্তান পিপলস পার্টির অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে বলে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির একদল সাংসদ মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে চাইছেন। তবে আর একদল বাইরে থেকে এই সরকারকে সমর্থন করতে চাইছেন।
পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জারদারি ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এই বিষয়ে দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। মন্ত্রিসভায় দলীয় সাংসদরা যোগদান করবেন নাকি বাইরে থেকে সমর্থন করবেন, সেই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে পাকিস্তান পিপলস পার্টির অনেক সাংসদ মনে করছেন, দেশে মন্ত্রিসভাকে শক্তিশালী করতে, দেশে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা আনতে মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়া প্রয়োজন। তবে পাকিস্তান পিপলস পার্টির তরফে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
সোমবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ শাহবাজকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। রবিবার পর্যন্ত শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের বিরোধী দলনেতা ছিলেন। সোমবার রাত আটটার সময় শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর ইমরান ইসমাইল পদত্যাগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শাহবাজ শরিফকে তিনি কখনই প্রধানমন্ত্রী বলে ডাকতে পারবেন না।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান পদত্যাগ করার পরেই ইমরান খানের ছয় সহযোগীর বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে ইমরান খানের দেশ ত্যাগের ওপর পাকিস্তানের আদালত কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। শনিবার গভীর রাতে অনাস্থা ভোটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতাচ্যূত হন ইমরান খান। এরপরেই পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় ইমরান অনুরাগীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভ থেকে সেনাবিরোধী স্লো গানও ওঠে।