-273ºc,
Sunday, 4th June, 2023 9:15 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, মস্কো: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কী শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যি পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতে চলেছে রাশিয়া? শনিবার রাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক মন্তব্যে এই জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিবেশী তথা বন্ধু দেশ বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া। যদিও এর পিছনে অস্বাভাবিকত্ব কিছু নেই বলে দাবি করেছেন টুতিন। তাঁর কথায়, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও দীর্ঘকাল ধরে মিত্র দেশগুলিতে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করে চলেছে।’ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ন্যাটোর পক্ষ থেকে রাশিয়ার এমন পদক্ষেপ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রথম থেকেই রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকেশেঙ্কো। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনে আক্রমণ চালাতে বেলারুশের জমি রুশ সেনাদের ব্যবহার করারও অনুমতি দিয়েছেন। যে কারণে রাশিয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে বেলারুশ। শুধু ব্যবসা বাণিজ্যের নয়, ক্রীড়াক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে বেলারুশের খেলোয়াড়রা। তবুও মস্কোর পাশ থেকে সরে দাঁড়াননি বেলারুশের প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি ইউক্রেনকে ডিপ্লিটেড ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ গোলাবারুদ পাঠানোর কথা জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ডিপ্লিটেড ইউরেনিয়ামের আড়ালে ঋষি সুনক সরকার পরমাণূ অস্ত্র পাঠাতে পারে বলে শঙ্কা মস্কোর। ব্রিটেনকে সতর্ক করে রুশ প্রেসিডেন্ট আগাম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘এমন সিদ্ধান্ত হলে পরিণাম ভয়ঙ্কর হবে। পাল্টা পদক্ষেপ নেবে রাশিয়া।’ এদিন ইউক্রেন লাগোয়া বেলারুশে আগেভাগে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করার কথা ঘোষণা করে পুতিন সেই পদক্ষেপ নিলেন বলেই মনে করছেন কূটনীতিবিদরা। বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন নিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট লুকেশেঙ্কোর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।