নিজস্ব প্রতিনিধি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আবারও আক্রান্ত হলেন ভারতের ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গান্ধি। কেউ বা কারা নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহ্যাটানের ইউনিয়ন স্ক্যোয়ারে থাকা ৮ ফুট উচ্চতার ব্রোঞ্জের গান্ধি মূর্তিতে ভাঙচুর চালায় শনিবার। সেই ঘটনার জেরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এদেশের শীর্ষ প্রশাসনের পাশাপাশি মার্কিন মুলুকে বসবাস করা প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে। ঘটনার জেরে নিউইয়র্কের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। ঘটনাটিকে ‘বর্বোরোচিত’ বলে আখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি জানিয়েছে, ‘কনস্যুলেট এই ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে। বিষয়টি অবিলম্বে তদন্তের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কাছে আবেদন করা হয়েছে এবং এই ঘৃণ্য কাজের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে।’ মার্কিন শীর্ষ প্রশাসনও এই ঘটনার দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি এই ঘটনায় যারা জড়িত তাঁদের গ্রেফতারির নির্দেশও দিয়েছে পুলিশ প্রশাসকে। প্রয়োজনে এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে হোয়াইট হাউসের তরফে।
মার্কিন মুলুকে গান্ধি মূর্তিতে ভাঙচুরের ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। একাধিকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নানা এলাকায়। শনিবার যে মূর্তিটিতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে সেটি জাতির জনকের ১১৭তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে ১৯৮৬ সালের ২ অক্টোবর গান্ধি মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশানাল ফাউন্ডেশনের তরফে বসানো হয়েছিল নিউইয়র্ক শহরে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের কাছেই। কিন্তু ২০০১ সালে সেটি সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরের বছর সেটিকে ম্যানহ্যাটানে এনে একটি সুন্দর বাগানের মধ্যে ফের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে কয়েক দশক ধরেই মার্কিন মুলুকে মহাত্মা গান্ধির মূর্তিতে বার বার ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। এই ঘটনার জেরে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে কোনও ধাক্কা না লাগলেও ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন মার্কিন মুলুকে বসবাস করা প্রবাসী ভারতীয়রা। শনিবারের ঘটনায় পুলিশ অবশ্য এখনও কাউকে চিহ্নিত করেনি। তাই গ্রেফতারির ঘটনাও ঘটেনি।