আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ইজরায়েল-প্য়ালেস্তাইনের যুদ্ধের হয়ত এবার অবসান হতে চলেছে। গতকাল বুধবার ১৫ নভেম্বর জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় ‘যুদ্ধ বিরতির’ প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এছাড়াও এই প্রস্তাবে হামাসের হাতে বন্দি ইজরায়েলিদের নিঃশর্ত মুক্তিরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘আলজাজিরা’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধ বিরতির এই প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করেন মাল্টা। পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে ১২টি দেশ ভোট দেয়। ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়া। রাষ্ট্রপুঞ্জের বিভিন্ন সংস্থা, রেড ক্রস ও অন্যান্য নিরপেক্ষ সেচ্ছাসেবক সংগঠনগুলি যাতে গাজায় দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে তার জন্য় জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধ বিরতি ও করিডর খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এই প্রস্তাবে। তবে এই প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পরেও অনেক আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা থেকেই যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রস্তাবটি ইজরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটি পাশে বাধা দেয়নি, তারা চাইলে ভেটো দিয়ে প্রস্তাবটি আটকে দিতে পারত। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সংকট নিরসণে পঞ্চমবারের মতো বসল নিরাপত্তা পরিষদ।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইজরায়েলের উপর রকেট হামলা চালায় হামাস। সেই সঙ্গে পণবন্দি করে ২০০ জনের বেশি ইজরায়েলিকে। তারপর থেকেই গাজাকে হামাস মুক্ত করতে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। বোমা বর্ষণের তীব্রতায় ইতিমধ্য়েই ভয়াবহ পরিস্থিতি প্য়ালেস্তাইনের গাজার। বন্ধ খাবারের সরবরাহ। অভুক্ত হাজার হাজার শিশু। সংঘর্ষ শুরুর দিন থেকেই গাজায় বন্ধ বিদ্যুৎ, জল ও জ্বালানি সরবরাহ। সাথে বেড়ে চলেছে মৃত্য়ু মিছিল। যার মধ্য়ে অধিকাংশই বৃদ্ধ এবং শিশু।