নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এসিপি অলোক রায়ের দেহ পুরীর এক হোটেল থেকে উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে। সোমবার রাতে পুরীর ওই হোটেলের ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। হোটেল কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নজর পড়ায় তাঁরা দ্রুত খবর দেন স্থানীয় এক চিকিৎসককে। তিনি ঘটনাস্থলে এসে অলোকবাবুকে পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দিন কয়েক আগেই সপরিবারে পুরী বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর স্ত্রী হোটেলের ঘরের ভিতরই তাঁকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। তিনিই হোটেল কর্তৃপক্ষকে তা জানান। তাঁদেরই সাহায্য নিয়ে চিকিৎসককে ডাকা হয়। সেই চিকিৎসক এসে অলোকবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতেই তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুরীর থানা। ওড়িশা পুলিশের পক্ষ থেকে রাতেই কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনাটি জানানো হয়।
অলোকবাবুর রহস্যজনক এই মৃত্যুর তদন্তের স্বার্থে সোমবার রাতেই কলকাতা পুলিশের একটি দল পুরীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অলোকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে তাঁর দেহ কলকাতায় গোলপার্কের বাড়িতে নিয়ে আসা হবে। তার পরই অন্তিম সংস্কার করা হবে। কী কারণে অলোকবাবুর মৃত্যু হল সেটাই এখন খতিয়ে দেখা হবে। প্রাথমিক ভাবে অবশ্য জানা গিয়েছে, অলোকবাবুর দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি। তাতেই রহস্য আরও বেড়েছে। খুন না হার্ট অ্যাটাকের জেরে ওই আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে নাকি তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন, সেসব নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে। তদন্তের স্বার্থে অলীকবাবুর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি পুরীর পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলবেন কলকাতা পুলিশের ওই টিম। কথা বলবেন তাঁরা ওই হোটেলকর্মীদের সঙ্গেও।