নিজস্ব প্রতিনিধি: টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র্যের(Mohua Moitra) বিরুদ্ধে। সংসদের নীতি কমিটি নিজেদের মতো করে তদন্তও করছে। সেই তদন্তের সূত্রেই তাঁরা মহুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন। সেই জিজ্ঞাসাবাদকালে মহুয়াকে করা বেশ কিছু বিতর্কিত ও একদমই ব্যক্তিগত প্রশ্ন করার অভিযোগও উঠেছে নীতি কমিটির বিরুদ্ধে। তার মধ্যেই মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিল করার জন্য লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে সুপারিশ করতে চলেছে সংসদের নীতি কমিটি। সেই প্রশ্নেই এবার প্রকাশ্যে মহুয়ার পাশে দাঁড়ালেন বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। এদিন সল্টলেকের CGO Complex’র ED’র কার্যালয় থেকে বেড়িয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মহুয়াকে নিয়ে দলের অবস্থান সকলের সামনে তুলে ধরেন।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? তৃণমূলের নম্বর টু নেতা তথা দলের সাংসদ মহুয়া প্রসঙ্গে জানান, ‘নীতি কমিটিতে অনেক অভিযোগ পড়ে রয়েছে। দেড় মাস আগে নতুন সংসদভবনে যখন বিশেষ অধিবেশন বসল, বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরি সংসদের গরিমায় আঘাত হানেন। বিজেপি-র এমন অনেক সাংসদ রয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে রয়েছে। আজ পর্যন্ত শুনানি হয়নি। যদি কেউ সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে চায়, সরকারকে প্রশ্ন করে, আদানিদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়, কী উপায়ে তাঁকে সাংসদ পদ থেকে হটানো যায়, সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। নীতি কমিটির সুপারিশের যে খসড়া আমার হাতে এসেছে, তাতে দেখলাম, মহুয়ার বিরুদ্ধে কিছু রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, তদন্ত করে দেখতে হবে। যদি কিছু না-ই থাকে, তাহলে বহিষ্কারের সুপারিশ করলেন কী করে? মহুয়া নিজের লড়াই, নিজে লড়ার যোগ্য।’
এর পাশাপাশি অভিষেক বলেন, ‘আমাকেও চার বছর ধরে ডাকছে, জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এক মামলায় কিছু না পেলে, অন্য মামলায় নাম টানছে। এরা এটাই করে। এটা প্রতিহিংসা ছাড়া কিছু নয়। সাধারণ মানুষ সব বুঝতে পারছেন। এত বছর ধরে, এত বার করে ডাকা হলেও, এখনও আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ED আদালতে জমা করতে পারেনি। কোনও প্রমাণ নেই বলেই আদালত আমাকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। তবে যত বার আমাকে ডাকা হবে, আমি ততবার আসবো, তদন্তে সহযোগিতা করবো। আমার লুকনোর কিছু নেই। তবে, বিজেপির তৈরি চক্রব্যুহ থেকে বেরনোর লড়াইটা মহুয়ার একার। আর সেই লড়াইটা লড়তে হবে তাঁকেই। এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান নিজেই রিপোর্টে লিখছেন, মহুয়ার বিরুদ্ধে আরও তদন্ত প্রয়োজন। আমার প্রশ্ন, বিষয়টা যখন তদন্তসাপেক্ষ, আপনার কাছে যখন কোনও প্রমাণ নেই, তখন আপনি সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করলেন কী ভাবে!’