নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায় দলের হাল ফেরাতে সোনিয়া গান্ধি-রাহুল গান্ধিরা পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছেন। কিন্তু এমন একজনকে নিয়োগ করেছেন যিনি না জানেন বাংলা লিখতে, পড়তে বা বলতে। বুঝতেও পারেন না বাংলা ভাষা। এহেন কাউকে দলের পর্যবেক্ষক বানিয়ে কী লাভ মিলবে সেটাই এখন প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে জনে জনে প্রশ্ন করে ফিরছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বাংলায় প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও পর্যবেক্ষক ছিল না। বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশের জিতিন প্রসদাকে রাজ্য কংগ্রেসের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি ভোটের আগেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। যার ফলে পর্যবেক্ষক ছাড়াই বিধানসভা নির্বাচনে নামতে হয় প্রদেশ কংগ্রেসকে। ফলাফল, রাজ্যে কংগ্রেসের শূন্য হয়ে যাওয়া। সম্প্রতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে পর্যবেক্ষক নিয়োগের আবেদন জানান রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তারপরই তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরি লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ চেল্লা কুমারকে প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেছেন হাইকম্যান্ড।
কিন্তু এই নিয়োগ নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠে গিয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা থেকে কর্মী সকলেই একটি কথাই বলছেন, বাংলা না জানা এই কংগ্রেস সাংসদ কীভাবে পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করবেন! না দলের নীচুতলার নেতাকর্মীদের কথা তিনি বুঝতে পারবেন না তিনি বাংলায় তাঁদের কিছু বুঝিয়ে বলতে পারবেন। দল কীভাবে তাঁর মাধ্যমে লাভবান হবে। তবে এই সূত্রেই সামনে এসেছে অপর একটি তথ্য। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পরে কংগ্রেসের প্রথম সারির কোনও নেতাই নাকি এই পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নিতে চাইছিলেন না। কার্যত নিজেদের মুখরক্ষার্থে হাইকম্যান্ড চেল্লা কুমারের মতো অখ্যাত নেতাকে প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক করে পাঠিয়েছে। যদিও বাংলার কংগ্রেসের নেতা থেকে কর্মী ও সমর্থকদের একটাই প্রশ্ন, বাংলা না জানা বোঝা এই সাংসদ বাংলায় কংগ্রেসকে কী আদৌ কোনও দিশা দেখাতে পারবেন, নাকি নাম কে ওয়াস্তে পর্যবেক্ষকের পদ অলঙ্কৃত করে থাকবেন!