এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

আদালতের রায়ে অক্সিজেন দুই বাম শ্রমিক সংগঠনের

নিজস্ব প্রতিনিধি: সিটু(CITU) ও এআইসিসিটিইউ(AICCTU), দুই বাম শ্রমিক সংগঠন। ৩৪ বছরের বাম জমানায় এই দুই বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন দাপটের সঙ্গে রাজত্ব চালিয়ে গিয়েছে, বিশেষ করে সিটু। বাম রাজত্বের অবসানের পরেও সিটু রাজ্যের বেশ কিছু শিল্পাঞ্চলে বা কলকারখানায় আরও কিছুদিন নিজেদের দাপট ধরে রেখেছিল। বিশেষ করে আসানসোল-দুর্গাপুর, হলদিয়া ও ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই দাপটও ফিকে হয়েছে বঙ্গে। এবার আদালতের রায়ে সেই দুই শ্রমিক সংগঠনই নতুন করে অক্সিজেন পেল বাংলার বুকে। যার জেরে আগামী দিনে বাংলার শিল্পাঞ্চলের কলকারখানায় এই দুই বাম শ্রমিক সংগঠন কিছুটা হলেও তাঁদের হারানো জমি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে। যে ঘটনা ঘিরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা খাস কলকাতার বুকে একটি শিল্পসংস্থার সঙ্গে জড়িত মামলার রায়। সেই শিল্পসংস্থা হল জয় ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস(Joy Engineering Works)। যদিও এদের কারখানাকে সবাই ঊষা ফ্যাক্টারি(Usha Factory) বলেই বেশি চেনেন। এই শিল্পসংস্থার বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছে রাজ্যের শ্রম আদালত(Labour Commissionerate) যা এখন অক্সিজেন জোগাচ্ছে সিটু ও এআইসিসিটিইউ-কে।

আরও পড়ুন ভয় পেয়েছে শুভেন্দু, টুইটারে প্রচার শুরু তৃণমূলের

যে ঘটনা ঘিরে এই মামলার সূত্রপাত তা ২০০৩ সালের। বাংলার বুকে তখন ক্ষমতায় বামফ্রন্ট। মসনদে বুদ্ধদের ভট্টাচার্য। ওই সময় ঊষা ফ্যাক্টারিতে সিলিং ফ্যান ও সেলাই মেশিন তৈরি ও তা বিক্রির ক্ষেত্রে বড় লোকসান চলছিল। এই লোকসান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মূল সংস্থা জয় ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস তাঁদের কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এখন দক্ষিণ কলকাতার আনোয়ার শাহ রোডের যেখানে সাউথ সিটি মল ও আবাসন মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেখানেই ছিল ঊষা ফ্যাক্টারি। সেই কারখানা যেহেতু বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তাই মূল সংস্থার তরফে ওই কারখানায় কর্মরত ৯০৩ জন কর্মীকে স্বেচ্ছাবসরের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর জেরে কারখানার প্রায় সব শ্রমিক সংগঠনের তরফে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। যদিও তাতে লাভ বিশেষ কিছু হয়নি। সংস্থাটি তাঁদের গৃহীত সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি। কার্যত মূল সংস্থার চাপে কারখানার ৮৮৯জন কর্মী স্বেচ্ছাবসরের সযোগ গ্রহণ করতে বাধ্য হন। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হননি সিটু ও এআইসিসিটিইউ সংগঠনের ১৪জন কর্মী সদস্য। তাঁরা এই শ্রমিক সংগঠনের দাবিতে রাজ্যের শ্রম আদালতের দ্বারস্থ হন।

আরও পড়ুন নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ক্ষুব্ধ বিচারপতি, পুনর্গঠিত হল সিট

২০ বছর ধরে চলে সেই মামলা। এই সময়ের মধ্যে ৩জন মামলা থেকে সরে দাঁড়ান ও স্বেচ্ছাবসর নেন সংস্থার শর্ত মেনে। ১জন মারা যান। ২০ বছর বাদে যখন এই মামলার নিষ্পত্তি হল তখন জীবিত রয়েছেন ১০জন। রাজ্যের শ্রম আদালত এই ১০জনের পক্ষেই রায় দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, কোনও শিল্পসংস্থাই কোনও কর্মীকে জোর করে স্বেচ্ছাবসর নিতে বাধ্য করতে পারে না। কারখানা বন্ধ হয়ে গেলেও না। তাই যিনি মারা গিয়েছেন তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিনের তাঁর বকেয়া মাইনে ও অনান্য আর্থিক সুযোগসুবিধার টাকা তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দিতে হবে, আর সেটাও আগামী ৬০ দিনের মধ্যে। বাকি ১০জনের বিগত বছরগুলির জন্য চাকরি বাবদ প্রাপ্য অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁদের সংস্থার অন্য কারখানায় আগামী ২ মাসের মধ্যে পুনরায় নিয়োগ করতে হবে। যদিও সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকতে চলেছে জয় ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস। তবে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্যের শ্রম আদালতের বিচারক দুর্গা খৈতান যিনি এই মামলার রায় দিয়েছেন তিনি এই রায়ের নির্দেশ যাতে বলবৎ হয় সেই বিষয়টি নজরে রাখার জন্য রায়ের কপি রাজ্য শ্রমদফতরের প্রধান সচিব বরুণ রায়কেও পাঠিয়েছেন। তাই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠোকা হলেও বিশেষ কিছু সুবিধা ওই শিল্পসংস্থা করতে পারবে কিনা সন্দেহ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে ‘স্পিকটি নট’ রাজ্যপাল বোস

অভিজিতের এফআইআর খারিজের আর্জি শুনবেন বিচারপতি  তীর্থঙ্কর ঘোষ

‘সত্যের জয় হল’, জেল থেকে বেরিয়ে বললেন জীবনকৃষ্ণ সাহা

বেআইনি নির্মাণে মিলবে না পানীয় জল এবং নিকাশি ব্যবস্থা, নয়া নির্দেশ কলকাতা পুরসভার  

রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী

গ্রেফতারির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দেশখালির পিয়ালি দাস

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর