নিজস্ব প্রতিনিধি: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই (CBI) সিট (SIT)। তবে তদন্ত চলছে ধীর গতিতে। এতেই অসন্তুষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন এজলাসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, সিবিআই সিট প্রধানকে বুধবার হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই মত হাজিরা দিয়েছিলেন সিট প্রধান। প্রসঙ্গত, এদিন পুরানো সিট ভেঙে তা পুনর্গঠন করেন বিচারপতি।
এসএসসি’র গ্রুপ ডি তদন্তে নেমে ৫৪২ জনের মধ্যে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মাত্র ১৬ জনকে। আর তার জন্য সময় নিয়েছে দীর্ঘ ৭ মাস! এই তথ্য পেয়ে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। তিনি বলেন, খুব ধীরে কাজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মন্তব্য করেন, কেন এভাবে কাজ করছে সিবিআই সিট তা একমাত্র তারাই জানে। এরপরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী ২১ দিনের মধ্যে বাকি সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। তদন্তের তথ্য পর্যবেক্ষণ করার পরে তিনি বলেন, আগের ১৬ জনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘তদন্ত কবে শেষ হবে’ আবারও প্রশ্ন বিচারপতির
বিচারপতির নির্দেশে পুরানো সিট থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ইমরাম আসিফ এবং কেসি রিশিনামোল। প্রসঙ্গত, কেসি ছিলেন ডেপুটি সুপার। নতুন সিটে যুক্ত করা হয়েছে ৪ জনকে। সকলেই ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার। তাঁদের নাম বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, অংশুমান সাহা, ওয়াসিম আক্রম খান এবং প্রদীপ ত্রিপাঠী। বিচারপতির নির্দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, আগের ডিআইজি অখিলেশ সিংহকে। স্পষ্ট নির্দেশ, আগামী ৭ দিনের মধ্যেই ফিরিয়ে আনতে হবে তাঁকে। এও বলেন, যেখানেই তিনি কর্মরত থাকুন না কেন, সেখান থেকেই ফিরিয়ে আনতে হবে অখিলেশকে। আরও নির্দেশ, আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাঁকে বদলি করা যাবে না।
এদিন বিচারপতি সিবিআই সিটের কাছ থেকে ৩ জন ডিআইজি’র নাম চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই কাওকে তদন্তকারী দলের মাথায় বসানো হবে। তিনি ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আরও ৪ জনের নাম চেয়েছিলেন। সিবিআই তা দেওয়ার পরেই। নতুন সিট গঠন করেন বিচারপতি।