নিজস্ব প্রতিনিধি: আধার কার্ড(Aadhar Card) ও প্যান কার্ড(PAN Card) সংযোগ নিয়ে যখন দেশের জনতাকে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ঠিক তখনই আধার কার্ড নিয়ে নিঃশব্দে একটা বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন মোদি সরকার(Modi Government)। এবার থেকে নতুন আধার কার্ড তৈরির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নথি হিসেবে পঞ্চায়েত প্রধান(Panchayat Pradhan) বা বিধায়কদের(MLA) বাসস্থান সংক্রান্ত শংসাপত্র(Certificate) আর গ্রাহ্য হবে না। বিষয়টি নিয়ে জালিয়াতি করে ভিন দেশী নাগরিকদের আধার কার্ড পাইয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে। তার মধ্যে বাংলাও আছে। আর তার জেরেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন রাজ্য সরকারের Casual Employees-রাও পাবেন অ্যাড হক Bonus
বাংলা সহ দেশের সব রাজ্যেই রয়েছে আধার কেন্দ্র যেখানে আমজনতা গিয়ে নিখরচায় তাঁদের আধার কার্ড তৈরি করান। আবার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমেও কেন্দ্র সরকার আধার তৈরি করিয়ে থাকে। সেজন্য বেশকিছু নিয়ম রয়েছে। আধারের জন্য আবেদনকারীকে সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু তথ্য দিতে হয়। সেইসঙ্গে জরুরি নথিও জমা করতে হয়। তবে বিনা নথিতেও আধার কার্ড পাওয়া যায়। তার জন্য এতদিন ৬ নম্বর ফর্মে আবেদন করা যেত। পূরণ করা ওই ফর্মে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বা জনপ্রতিনিধির সিলমোহর দিতেন। পরে তা জমা নেওয়া হতো। মূলত ওই ফর্মকে কেন্দ্র করেই জালিয়াতি বেশি হচ্ছিল। বাংলার বুকে বাংলাদেশী, নেপালী, ভূটানিদের এদেশের নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার ঘটনা যেমন ঘটেছে তেমনি অনান্য রাজ্যের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার জেরেই এই ৬ নম্বর ফর্ম নিয়ে কেন্দ্র পদক্ষেপ করেছে।
আরও পড়ুন বাংলার সব জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে মিলবে ক্যান্সারের চিকিৎসা
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন ৬ নম্বর ফর্মে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বা বিধায়করা সই করে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে আবেদনকারীকে মান্যতা দিতেন। তবে পঞ্চায়েত স্তরে ওই ফর্ম বেআইনিভাবে ব্যবহার করে ভিনদেশিদের আধার কার্ড তৈরি হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে ওই ফর্মটি বাতিল করা হয়েছে। সেই মোতাবেক নজরদারি শুরু হয়েছে। কোনওভাবেই যাতে বেআইনি আধার কার্ড তৈরিতে বাংলার মাটিকে ব্যবহার করা না হয়, তা কঠোরভাবে দেখা হচ্ছে। মূলত অভিযোগ উঠেছে, এপার বাংলা হয়ে দেশে বহু বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ করেছে। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শ্রমিকের কাজ করে থাকে। তবে তার জন্য বৈধ কাগজপত্র তাদের কাছে থাকে না। ফলে ভারতীয় হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেওয়ার জন্য বাংলার বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন ঠিকানায় বাংলাদেশিরা আধার কার্ড করিয়ে থাকে। সেই ঘটনা এবার থেকে আটকানো যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।