এই মুহূর্তে




সল্টলেকের অরণ্য ভবনে হানা ED’র, নেপথ্যে রেশন দুর্নীতি

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: রেশন দুর্নীতির(Ration Distribution Scam) ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Directorate বা ED। সেই তদন্তের স্বার্থেই তাঁরা রীতিমত তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক(Jyotipriya Mallik) ওরফে বালু এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে(Bakibur Rahaman)। তদন্তকারীদের অনুমান বাংলার(Bengal) রেশন দুর্নীতিতে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার ঘোটালা হয়েছে। এর মধ্যে ১০০০ কোটি টাকা গিয়েছে বাকিবুরের পকেটে। বাকি টাকা কোথায় আছে সেটাই তাঁরা এখন সন্ধান করে চলেছেন। সেই সূত্রেই এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে ED আধিকারিকেরা হানা দিয়েছে রাজ্যের বন দফতরের কার্যালয় সল্টলেকের বিল্ডিং মোড়ের কাছে থাকা অরণ্য ভবনে(Aranya Bhawan)। কেননা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যখন ED’র হাতে গ্রেফতার হন তখন তিনি রাজ্যের বনমন্ত্রী হিসাবেই কাজ করছিলেন।

ED’র আধিকারিকেরা এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়েই অরণ্য ভবনে হানা দিয়েছেন। রাজ্যে এই প্রথম কোনও সরকারি কার্যালয়ে হানা দিল কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর তদন্তকারীরা। ED’র দাবি, শুধু কার্যত এক দশক ধরে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী হিসাবে রেশনের সামগ্রী বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি চালিয়ে গিয়েছেন বালু। শুধু চাল গম নিয়েই নয়, দুর্নীতি হয়েছে আতা এবং ধান কেনা নিয়েই। সরকারী সামগ্রী বাজারে গিয়ে সেখান থেকেই আবার ফেরত এসেছে সরকারের গুদামে। আর এই আসা যাওয়ার মাঝেই কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। গোটা বিষয়টি বালুর নজরদারিতেই সম্পাদন করেছে বাকিবুর। সেই দুর্নীতির টাকা এখন কোথায় কীভাবে আছে সেটাই খুঁজে দেখতে চান ED’র আধিকারিকেরা। যেহেতু বালু শেষ দিকে রাজ্যের বনমন্তড়ী ছিলেন তাই এদিন অরণ্য ভবনে তাঁর ঘরেই হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তাঁরা সেই ঘরখানিতে তল্লাশি চালিয়ে দেখতে চান সেখান থেকে কোনও নথি মেলে কিনা।

উল্লেখ্য, বালু ED’র হাতে গ্রেফতার হলেও এখনও রাজ্যের মন্ত্রীই রয়েছেন। রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে এখনও সরানো হয়নি। তবে বনদফতরের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকেই এখন এই দফতর দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি একাধিকবার প্রকাশ্যে বালুর পাশে দাঁড়িয়েছেন, ED’র হাতে বনমন্ত্রীর গ্রেফতার হওয়ার পরে। তিনি এটাও দাবি করেছেন, বালুর বিরুদ্ধে যা সব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা এবং তাঁকে কার্যত ফাঁসানো হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে এই প্রথম কোনও দুর্নীতির তদন্তে নেমে কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী বাহিনীর আধিকারিকেরা সরাসরি হানা দিলেন রাজ্যের কোনও দফতরের কার্যালয়ে যা রীতিমত নজীরবিহীন বলেও বড় কম বলা হবে। আর সেটাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যেকার বৈঠকের ঠিক ২৪ ঘন্টা আগে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নবান্নের পাঠানো তালিকা থেকে চার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সম্মতি দিল রাজভবন

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করল বাস মালিকদের সংগঠন

মমতার উদ্যোগে বাংলায় তৈরি হবে আরও ৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে শ্যামবাজার মোড়ে ‘মানববন্ধন’

লন্ডনের মত কলকাতার হেরিটেজ রক্ষার্থে জারি নয়া আইন

‘দুর্নীতির সঙ্গে কোনও যোগই নেই পার্থের’, আদালতে সওয়াল আইনজীবীর

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর