নিজস্ব প্রতিনিধি: এ রাজ্যের জন্য বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বাহিনীর(Central Force) কোটায় Fake Domicile বা এখানকার বাসিন্দা হওয়ার ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরি বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী বেশ কিছু ব্যবস্থা নেয়। প্রশিক্ষণের আগে এবং পরে বেশ কিছু প্রার্থীকে বাদ দেয় বাহিনী। পরে আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিও তদন্ত এবং তল্লাশি শুরু করে। উঠে আসে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে, সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি জওয়ানের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এদের নথি নিয়ে প্রশ্ন থাকায় Physical Verification হবে। যদি কোনও জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে, তাহলে চাকরি বাতিলের পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, CISF এবং CRPF’র যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে এখন তাই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, যে সাড়ে ৫ হাজার জওয়ানের বিরুদ্ধে Fake Domicile দিয়ে চাকরি হাতানোর অভিযোগ উঠেছে দেখা যাচ্ছে তাঁরা জাতিগত শংসাপত্রও নকল করে জমা দিয়েছে। খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তিতেই দেখা যাচ্ছে, বাংলার জন্য বরাদ্দ চাকরিতে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, নাগাল্যান্ডের মতো রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দারা চাকরি পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, ভুয়ো SC এবং STটি সার্টিফিকেটও দাখিল করা হয়েছে। এর ফলে ২০২১ সালে নিযুক্ত ১,৮৭৪ জন এবং ২০২২ সালে নিযুক্ত ৩,৬২৭ জন কর্মীকে Physical Verification’র আওতায় আনা হয়েছে। এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভুয়ো ডোমিসাইল বা Fake Domicile এবং জাতিগত শংসাপত্র চক্রের হদিশ মিলেছে আগেই। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমা এলাকা থেকে। একজন কর্মরত জওয়ানের বিরুদ্ধেও এই সংক্রান্ত কাজে দালালির অভিযোগও ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয় বাহিনীতে। রাজ্য সরকারের এক কর্মীও এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। েবার সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি জওয়ানের চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।