এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস মানেই ‘ধর্ষণ’ নয়, রায় হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি: কার্যত নিত্যদিনই দেশের কোনও না কোনও আদালতে মামলায় দায়ের হয় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যথেচ্ছা সহবাস করে পরে বিয়ে না করতে চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সেই সব ঘটনায় পুরুষের বিরুদ্ধে দায়ের হয় ধর্ষণের অভিযোগ। তাতে শুধু যে গ্রেফতার হতে হয় তাই নয়, ১৬ বছর পর্যন্ত জেলেও কাটাতে হতে পারে। কোথাও কোথাও দেখা যায় আদালত এই ধরনের মামলায় অভিযুক্ত পুরুষকে সাফ জানিয়ে দেয় অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করলে তবেই মিলবে জামিন। একই সঙ্গে দেশের নানা আদালতে এই রায়ও দেওয়া হয়েছে একাধিকবার যে দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের সম্মতিতে সহবাস করলে সেটা ধর্ষণ বলা যায় না। এবার সেই রায়ই ফিরে এল কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court)। আদালত জানালো। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস মানেই ‘ধর্ষণ’ নয়।

আরও পড়ুন শুভেন্দুর মামলায় সাড়া, রামনবমীর অশান্তির ঘটনায় NIA তদন্ত

জানা গিয়েছে, হুগলি(Hooghly) জেলার শ্রীরামপুর(Sreerampur) মহকুমার ডানকুনি(Dankuni) থানা এলাকায় দুই পরিবারের মধ্যের সখ্য গভীরতাকে আত্মীয়তায় বদলাতে দুই পরিবার ছেলে ও মেয়ের মধ্যে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালের সেই সিদ্ধান্তের ওপর ভর দিয়েই দুই পরিবারের একটি ছেলেটি এবং একটি মেয়েটির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু কিছু দিন মেলামেশার পর যুবকটি অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে কর্মস্থল গোয়ায় চলে যান। যাঁর সঙ্গে বিয়ের কথা হয়েছিল, সেই তরুণী তখন ডানকুনি থানায় ওই যুবক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং ধর্ষণে’র অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শুধু যে ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে তাই নয়, তাঁর বাবারকেও গ্রেফতার করে। যদিও পরে নিম্ন আদালত থেকে জামিন পান ওই অভিযুক্ত যুবকের বাবা। ওই যুবকের পরিবারের দাবি, পুলিশ তাদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১ ধারায় নোটিস পর্যন্ত দেয়নি। সরসারি দণ্ডবিধির ৩৭৬-সহ অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।

আরও পড়ুন কেষ্ট’র পরিবার নামে বেনামে প্রায় ১০০ কোটির সম্পত্তির মালিক

এরপরেই অভিযোগকারিণী তরুণীর FIR’র বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে যুবকের পরিবার। সেই মামলা ১৪ বছর ধরে চলার পরে চলতি সপ্তাহে রায়ের মুখ দেখল। মামলাটি উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের এজলাসে। সেই মামলার শুনানিতেই যুবকের পরিবারের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী বলেন, তরুণীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারণ দুইজনই প্রাপ্তবয়স্ক। দুইজনের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একে ধর্ষণ বলা যায় না। তা ছাড়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু করাও ডানকুনি থানার অতিসক্রিয়তা। অন্যদিকে তরুণীর পরিবারের আইনজীবী দাবি করেন, যুবকের পরিজন ধর্ষণে মদত দিয়েছিলেন। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েটির সাথে প্রতারণাও করেছেন। দুইপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি নির্দেশে জানান, তরুণীর অভিযোগের আইনি বৈধতা নেই। যুবকের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও বাতিল করে দেন তিনি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে নিজেদের সম্মতিতে যদি শারীরিক সম্পর্ক গড়েন, সেটা ধর্ষণ বিবেচিত হতে পারে না। ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস’ এবং সেক্ষেত্রে উভয়পক্ষই প্রাপ্তবয়স্ক হলে ও সেই সম্পর্কে উভয়ের সন্মতি থাকলে তা কখনই ধর্ষণ বলে গণ্য হতে পারে না। দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের সম্মতিতে সহবাস করলে সেটা ধর্ষণ বলা যায় না।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার সুপ্রিম শুনানি সোমবার

সিটি সেন্টারে ভোটদানে উৎসাহ প্রদান প্রশাসনের, তৈরি সেলফি জোন

রবিবার কলকাতা তেঁতে পুড়ে যাবে, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ঝড় -বৃষ্টির পূর্বাভাস

এবার আর Vote Boycot’র ডাক দিচ্ছে না Smart City Newtown

‘গতর খাটিয়ে খাই, শ্রমিকের অধিকার চাই’, মে দিবসে বন্ধ থাকবে সোনাগাছি

হাওড়ার ডুমুরজলায় হচ্ছে না মোদির সভা, বড় ধাক্কা রথীনের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর