এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কেষ্ট’র পরিবার নামে বেনামে প্রায় ১০০ কোটির সম্পত্তির মালিক

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাবার আছে তিহার জেলে। মেয়ে কোন জেলে যাবে সেটা এদিন দিল্লির আদালত ঠিক করবে। তবে বাপ-বেটিকে যে আপাতত জেলেই দিনযাপন করতে হবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বীরভূমের(Birbhum) দাপুটে তৃণমূল(TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondol) ওরফে কেষ্ট গতবছরই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে সিবিআই হেফাজতে পরে দিল্লির তিহার জেলে তাঁর ঠাঁই হয়। গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও(Sukanya Mondol)। বাবাকে CBI গ্রেফতার করলেও মেয়েকে গ্রেফতার করেছে ED বা Enforcement Diroctorate। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সরাসরি গরু পাচারের অভিযোগ না হলেও তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে কিন্তু সেই অভি্যোগ আনা হয়নি। বরঞ্চ আনা হয়েছে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ। আর সেই দাবি প্রমাণের জন্যই এবার সুকন্যার নামে থাকা যাবতীয় সম্পত্তির নথি সামনে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ED।  

আরও পড়ুন কলকাতা সহ জেলায় জেলায় School Cluster গড়তে উদ্যোগী রাজ্য

সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেকবারই দিল্লিতে তলব করেছিল ED। কিন্তু সুকন্যা হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন বার বার। গতকাল অবশ্য তিনি দিল্লিতে গিয়েছিলেন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে। সেই জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ED। এখন তাঁদের দাবি, সুকন্যার নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। কিন্তু কীভেব এই অল্প সময়ে এই বিপুল সম্পত্তির মালকিন হলেন তিনি তার কোনও ব্যখা তিনি দেননি। তাঁর একটাই উত্তর, ‘সব বাবা জানে আর অ্যাকাউন্টেন্ট জানে’। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাবা আর মেয়ের নামে ঠিক কী কী সম্পত্তি আছে। ED’র দাবি, অনুব্রতের নামে বোলপুরে ২৪০ কাঠা জমি রয়েছে। সুকন্যার নামে রয়েছে ১২০ কাঠা জমি! বোলপুর পুর এলাকার মধ্যেই এই বিপুল পরিমাণ জমি আছে বলে ইডি সূত্রে খবর। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী, এই জমির আনুমানিক মূল্য ২৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। এই সব সম্পত্তির নথি আদালতে জমা দেওয়ার পাশাপাশি তা প্রকাশ্যে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ED’র আধিকারিকেরা। গরু পাচারের টাকা বিনিয়োগ করতেই এই জমিগুলি কেনা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন শুভেন্দুর মামলায় সাড়া, রামনবমীর অশান্তির ঘটনায় NIA তদন্ত

স্থানীয় সূত্রে খবর, কেষ্ট ও তাঁর মেয়ের নামে কেনা বেশিরভাগ জমিই এখন ফাঁকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যা থেকে তদন্তকারীদের অনুমান, অবৈধ উপায়ে পাওয়া টাকা বিনিয়োগ করার জন্যই জমিগুলি কেনা হয়েছিল। এই ৩৬০ কাঠা জমির বাইরেও শিবশম্ভু রাইস মিলেও রয়েছে অনুব্রত-কন্যার জমি। তদন্তকারীরা প্রথম থেকেই মনে করছিলেন অনুব্রত, তাঁর কন্যা সুকন্যা এবং তাঁর স্ত্রীর নামে যা সম্পত্তি রয়েছে, তার থেকেও অনেক বেশি পরিমাণ সম্পত্তি বেনামে কেনা হয়েছে। বেনামে অনুব্রতেরা আরও জমি কিনেছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নথি বলছে, এই সমস্ত জমি কেনা হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে। এমনকি ২০১৪ সালে একই দিনে ৭টি জমি রেজিস্ট্রি হয়েছে সুকন্যার নামে। পাশাপাশি সুকন্যার নামে ১৬ কোটি টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজ়িট রয়েছে। সব মিলিয়ে ED’র আধিকারিকদের ধারনা কেষ্ট ও তার পরিবারের নামে বেনামে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর