এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দুর্গা পিতুরি লেনের মানুষের পাশে দাঁড়াতে ‘দুয়ারে’ কাউন্সিলর

নিজস্ব প্রতিনিধি: মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবার ‘দুয়ারে’ কাউন্সিলর। এ যেন দুয়ারে সরকারের ক্ষুদ্র সংস্করণ। বউবাজারের মেট্রো (Metro) বিপর্যয়ে মানুষের পাশে সর্বদা থাকতে এমনই উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। উত্তর কলকাতার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (Councilor) বিশ্বরূপ দে। এলাকার বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াতে ফুটপাতেই খুলেছেন অস্থায়ী কার্যালয়। সকালে থেকে রাত, সেখানেই থাকছেন তিনি।

সত্যিই এই ঘটনা ‘দুয়ারে সরকার’- এর অনুপ্রেরণা। ‘দুয়ারে কাউন্সিলর’ আপাতত সদা জাগ্রত এই মেট্রো বিপর্যয়ে। তাই ফুটপাতেই গড়ে তুলেছেন অস্থায়ী অফিস। অন্যদিকে, মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শেষ জল ঢোকার প্রবেশপথও বন্ধ করা গিয়েছে। আর দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের প্রশ্ন, এটা স্থায়ী সমাধান কি? এলাকায় পলিমাটি রয়েছে। ফলে আবারও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। মেট্রোর প্রতি তাঁর বার্তা, প্রতিনিধি দল এসে আগে ভাল করে পর্যবেক্ষণ করুক পরিস্থিতি। যাতে মাটির নিচে আর ধস না নামে বা এলাকায় বাড়িতে ফাটল না দেখা যায়। একই মত, এলাকাবাসীদের। মেট্রোর জন্য বারবার বিপর্যয় মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। জীবন যেন অনিশ্চয়তার মুখে।

উল্লেখ্য, প্রায় আড়াই বছর আগে ঘটেছিল এমনই এক দুর্ঘটনা। যে কোনও প্রকারে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন বাসিন্দারা। একই জায়গার ঘটনা। সময়টা ২০১৯ সালের অগাস্ট। সেই সিঁদুরে মেঘেই ভীত বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা। বাড়ি যেন নেমে এসেছে রাস্তায়। তাও ক্ষণিকের জন্য। তারপর কোথায় যাবে, কী করবে সব ভেবে দিশেহারা বাসিন্দারা। বাড়ি খালি করা এত কমসময়ে, মুখের কথা নয়। তবু জীবনের মায়া। ফেলে রাখা বাড়িতে কবে কে ফিরতে পারবেন, তা জানা নেই কারওরই। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন হোটেল বা আত্মীয় বাড়িতে। তবে অনেকেই দুশ্চিন্তায় কোথায় যাবেন, তা ভেবে। 

প্রশাসনের নির্দেশ ছিল বাড়ি ছাড়ার, মেট্রো কর্তৃপক্ষ দেয়নি দৃঢ় আশ্বাস। অথচ মেট্রোর কাজের জন্যই এই অবস্থা। কাজ করার সময় এই অবস্থা হলে মেট্রো চলাচল করলে কী হবে, তা ভেবে আরও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাসিন্দারা। অনেকেই উপায় না পেয়েও অনিশ্চয়তার মধ্যেই চরম বিপদের আশঙ্কার মধ্যেই র‍য়ে গিয়েছেন ফাটল ধরা বাড়িতেই। খবর পেয়ে ঘটনার দিনেই দ্রুত এলাকায় উপস্থিত হয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। তিনি বুঝিয়েছেন, বাড়ি না ছাড়লে এর পরিণতি কী হতে পারে। উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুর নিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, পুলিশ কমিশনার প্রমুখ। এলাকার মানুষ ও ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেছে প্রশাসন ও মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। তবু ভয়, অনিশ্চয়তা পিছু ছাড়ছে না মানুষের।

 আদালত সতর্ক করার পরেও কেন ফাটল, তা নিয়ে অবশ্য চুপ মেট্রো। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ররা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কাজ। এর আগে ২০১৯ সালে মেট্রোর সুড়ঙ্গ কাটার জন্যই দুর্গা পিতুরি লেন ও স্যাকরা লেনে ধসে ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গিয়েছিল ৭৪ টি বাড়ি। বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল প্রায় ৬৭৪ জন বাসিন্দাকে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনছেন না কেন, রাজ্যপালকে নিশানা অভিষেকের

বিজেপির বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের

বঙ্গে তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটে ঘনিয়ে আসছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সর্তকতা জারি

সন্দেশখালি নিয়ে ট্যুইট মমতার, নিশানায় বিজেপি, তোপ অভিষেকেরও

শ্লীলতাহানিকাণ্ডে রাজভবনের কাছ থেকে  সিসিটিভি ফুটেজ চাইল লালবাজার  

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর