নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামিকাল আন্তর্জাতিক নারী দিবস(International Women’s Day)। প্রতি বছর এই দিনটাকে কেন্দ্র করে কিছু না কিছু করে তৃণমূল(TMC), কিছু না কিছু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও(Mamata Banerjee)। এইবছরও তার ব্যতিক্রম হল না। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতার(Kolkata) রাজপথে নামলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে আবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। স্বভাবতই জনস্রোতে ভাসলেন তিনি। মধ্য কলকাতার কলেজ স্কোয়ার থেকে এদিন তৃণমূলের মিছিল শুরু হয় যা ওয়েলিংটন হয়ে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রশিংয়ে এসে শেষ হয়। সেই মিছিলেই কার্যত জনস্রোতে ভাসেন মমতা। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন তিনি। সেই সভা থেকেই বিজেপিকে তোপ দাগেন তিনি। সন্দেশখালি থেকে মণিপুর, CBI থেকে ED, ১০০ দিনের কাজ থেকে রাজ্যে প্রতিনিধিদল পাঠানো, সব কিছু দিয়েই বিজেপিকে নিশানা বানান তিনি।
এদিন মমতা বিজেপিকে নিশানা বানিয়ে বলেন, ‘বিজেপির কাজ একটাই, তৃণমূলকে কেস দাও, ইডি লাগাও সিবিআই লাগাও জেলে ভরে দাও। আর জোর করে ভোটে জেতো। আমি বলি বাংলা নিয়ে এত গুস্সা কেন? ইতনা গুস্সা কিউ হ্যয়? বদনাম করেন কেন? বিজেপিকে আমি বলি পিন্টুবাবু। বাংলায় ৪৫৪ টিম পাঠিয়েছে। মণিপুরে এত বোন জ্বলে গেল কটা টিম পাঠিয়েছ বিজেপি? ইডির লোকেরাই ফোন করে বলছে বিজেপিতে যোগ দিন। বিজেপি(BJP) করলেই সাদা ও অন্য দল করলে কাদা। আধার কার্ড হঠাৎ বাতিল করে দিল। বাতিল করতে শুরু করল মতুয়াদের। ভোটের আগে বলবে ক্যা ক্যা হবে। তারপরই চিচিং ফাঁক। দেখেছেন আধার কার্ড কাড়তে শুরু করেছিল। আমরা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। এনআরসি শুরু করেছিল, রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। আমরা এসব করতে দেব না। মতুয়া নিয়ে যে মিথ্যা রাজনীতি, উত্তরবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গ ভাগের মিথ্যা রাজনীতি আমরা মানব না।’
এর পাশাপাশি মমতা বলেন, ‘ট্রেনের টাকা নিল ট্রেন দিল না। ১০০ দিনের কাজের জবকার্ড হোল্ডাররা দিল্লি যাবে, টাকা জমা দেওয়া হল। বাতিল করে দিল। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব কাল জিজ্ঞাসা করছে বিজেপির মিটিং আছে কাওয়াখালিতে, ওরা ৪টে জলের ট্যাঙ্ক চাইছে, দেব? আমি বললাম ৪টের জায়গায় ৮টা দে। শুধু বলিস, তোমাদের মতো ট্রেন আমরা ক্যান্সেল করি না। আজ ক্ষমতায় আছো ট্রেন বাতিল করছে, কাল ক্ষমতায় থাকবে না ট্রেন ড্রেনে ঢুকে যাবে। ওই ট্রেনটা হাত থেকে চলে যাবে। ওটা তখন শুধু পেন হবে, গেন হবে আমাদের, মানুষের। বাংলা প্রতিবাদ করতে জানে, প্রতিরোধ করতে জানে। দেশ, বাংলা, মানুষকে বাঁচাতে হলে গর্জন করতে হবে বিজেপির বিরুদ্ধে, তর্জন করতে হবে। রাজনৈতিক টর্নেডো আনতে হবে, রাজনৈতিক তুফান তুলতে হবে। তাই সকলকে বলব আমাদের গর্জন ব্রিগেড আছে ১০ তারিখ। দলে দলে ব্রিগেডে পৌঁছবেন সকাল সাড়ে ১১টা ১২টার মধ্যে। রাজনৈতিক টর্নেডো আনতে হবে বিজেপির বিরুদ্ধে। আগামী দিনে আমরা এখানে এনআরসি করতে দেব না, দেব না, দেব না।’