নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার অগ্নিকন্যা নিজেই জানিয়েছিলেন রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিনেই(Rammandir Inauguration Day) তিনি নামছেন কলকাতার(Kolkata) রাজপথে। জানিয়েছিলেন, রামমন্দির উদ্বোধনের পাল্টা কিছু করতে চাইছেন না তিনি। ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন, তার আগে সর্বধর্ম সমন্বয়ে(Syndication of Sarvadharma) জোর দিতেই এই উদ্যোগ। বলেছিলেন, ‘কোনও পাল্টা মিছিল করছি না, কোনও প্রতিবাদ করছি না। আমি সাধু-সন্তদের মানি। তাঁদের কথা শুনছি। এ ব্যাপারে একটাই কথা বলতে পারি, ধর্ম যার যার নিজের, উৎসব সকলের। আমি সর্বধর্ম সমন্বয় করছি কারণ, তার পরদিনই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। প্রথমে নিজে কালীমন্দিরে যাব আমরা। সবাই যাবে না। আমি যাব। সেখানে মায়ের কাছে পুজো দিয়ে হাজরা থেকে সর্বধর্মের মানুষকে নিয়ে মিছিল করে পার্ক সার্কাস ময়দানে গিয়ে সভা করব। মা কালীকে ছুঁয়ে, মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার, ওখানে অনেক গির্জাও রয়েছে, সব ছুঁয়ে যাব, সকলকে নিয়ে এই সভা করব। তৃণমূলের সভা, তবে শুভান্যুধায়ী, সাধারণ মানুষও এই সংহতি মিছিলে আসতে পারেন।’ তাঁর সেই বার্তাই কলকাতার রাজপথে ফের জনস্রোতের ঢেউ দেখিয়ে দিল। নজরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
এদিন কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়েই তৃণমূল(TMC) নেত্রী চলে আসেন হজরা পার্কে। সেখান থেকেই শুরু হয় সংহতি মিছিল। এদিনের মিছিলের সামনের দিকেই ছিলেন মমতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন ধর্মের ধর্মগুরুরা। তবে সেই জায়গায় মমতার আশেপাশে ছিলেন না কোনও রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা। মমতার পিছনে ছিল পুলিশ। তার থেকে কিছুটা দূরে ছিল মূল ভিড় যার সামনের দিকেই ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, অভিষেকের কাকিমা কাজোরী বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ শান্তনু সেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার, কলকাতা পুরনিগমের তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যুব তৃণমূলের নেতানেত্রীরা। মিছিল মমতার পায়ের গতিতেই এগিয়েছে বেশ দ্রুতভাবে। সঙ্গে এগিয়েছে জনস্রোতও। পথে মমতা যান গুরুদুয়ারে ও মন্দিরে। মিছিল পার্ক সার্কাস পৌঁছালে সেখানে মমতা যান গীর্জায় ও মসজিদে। তবে সবার নজর থাকছে মিছিল শেষে মমতা কী বার্তা দেন সেদিকেই।