নিজস্ব প্রতিবেদক: আর কয়েকদিন পর বাংলার নববর্ষ। আর নতুন বছর শুরু মানেই পশ্চিমবঙ্গের সিংহ ভাগ বাঙালি বাড়িতে নিয়ে আসেন পঞ্জিকা। সেই পঞ্জিকায় ঠিকুজি কুষ্ঠি দেখে তাঁরা জীবনের বহু গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্তও নেন। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও পঞ্জিকাগুলিতে ভবিষ্যতবাণী থাকে। বাংলার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে এ বছর কী বলছে কোন পঞ্জিকা? চলুন দেখে নিই।
গুপ্তপ্রেস, বেণীমাধব শীল, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত— তিন পঞ্জিকায় পঞ্জিকাররা লিখেছেন আসন্ন নতুন বাংলা বছরে রাজ্যে দাপট বজায় রাখবে বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
নতুন বাংলা সাল শুরু হওয়ার কিছুদিন পর থেকে অর্থাৎ ২৪ এপ্রিলের পর থেকে দেশ ও রাজ্যের জন্য খুবই শুভ থাকবে বলে মনে করছে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা। টানা আড়াই বছর দেশের জন্য শুভ পরিস্থিতি থাকবে। পাশাপাশি বিগত দুই বছরের আর্থিক মন্দা এ বছর কাটবে বলে জানিয়েছে এই পঞ্জিকা। অন্যদিকে বেণীমাধব শীলের পঞ্জিকা জানিয়েছে, আগামী বছর দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হবে। দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির দিকে সরকার নজর দিয়েও সাফল্য আসবে না বলে মত এই পঞ্জিকার প্রণেতাদের। রাজ্যের আগামী বছরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা জানাচ্ছে, বাংলায় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে খুব একটা বদল হবে না। বর্তমান শাসকদল এক নম্বর অবস্থান ধরে রাখবে।
অন্যদিকে আসন্ন বছরে শাসকদলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকার বিষয়েও আভাস দিয়েছে বেণীমাধব শীলের ফুল পঞ্জিকা। পঞ্জিকায় লেখা হয়েছে, ‘বর্ত্তমান বৎসরে রাজ্যের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে না। সরকারের সঙ্গে বেসরকারি উদ্যোগের সম্পর্কে শীতলতা বৃদ্ধি পাবে। শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং অনুশাসন না মানার ফল রাজ্যকে বিপর্যস্ত করবে।’ কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যে কোন দল কোন জায়গায় থাকবে যদিও তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও ভবিষ্যতবাণী করেনি কোনও পঞ্জিকা।