নিজস্ব প্রতিনিধি: আর নয় শুধু পঞ্চ নদের দেশে, বাংলাতেও(Bengal) এবার স্বর্ণমন্দির(Golden Temple)। সোনায় মোড়া মন্দির দেখতে আর বঙ্গবাসীকে অমৃতসর ছুটতে হবে না, কলকাতায়(Kolkata) এলেই তাঁরা দেখতে পাবেন স্বর্ণমন্দির। কেননা বাংলা তথা দেশের বিখ্যাত কালী মন্দির তথা ৫১ সতীপীঠের অন্যতম কালীঘাটের মন্দিরের(Kalighat Temple) চূড়া এবার সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে(Gold Wrap) দিচ্ছে মুকেশ আম্বানির(Mukesh Aambani) সংস্থা। এই মন্দিরকে ঢেলে সাজানোর দায়িত্ব পেয়েছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা। সেই সূত্রেই মূল মন্দির থেকে গর্ভগৃহ, ভোগঘর-সহ গোটা মন্দির চত্বরেই আমূল বদল ঘটতে চলেছে। আর এবার জানা গেল, মন্দিরের চূড়া মুড়ে ফেলা হবে সোনায়। একেবারে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের ধাঁচেই সোনায় মুড়বে কালীঘাটের চূড়া। সেই কাজ নাকি শুরুও হয়ে গিয়েছে। অন্তত ৫০ কিলো কিংবা তারও বেশি সোনা দিয়ে মোড়া হতে পারে মন্দিরের চূড়া।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) গত কয়েক বছর ধরেই কালীঘাট মন্দির চত্বর ঢেলে সাজাতে চাইছিলেন। যে চেষ্টা শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগেই। ২০১৯ সালে কালীঘাট মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছিল কলকাতা পুরনিগম(KMC)। কথা হয়েছিল, ১৮ মাসের মধ্যেই মন্দির সংস্কার সম্পূর্ণ হবে। কিন্তু আদপে তা হয়নি। পুরনিগমের দাবি, কোভিডকালে দীর্ঘ সময় থমকে ছিল কাজ। তারপর মন্দির চত্বর থেকে দোকানিদের সরাতেও বেগ পেতে হয়েছিল পুরনিগমকে। উপরন্তু সারা বছর মন্দিরে ভক্তদের ভিড়। সব মিলিয়ে মন্দির সংস্কারের কাজের গতি শ্লথ হয়। গত চৈত্র সংক্রান্তিতে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে সংস্কারের কাজে ঢিলেমি দেখে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই নিজের উদ্যোগে মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব Reliance’র হাতে তুলে দেন তিনি। তার পর গত প্রায় মাস ছয়েক মন্দির সংস্কারের কাজ করছে আম্বানির সংস্থা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ৭০ শতাংশেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুতই সেই কাজ শেষ হবে।
সংস্কার হবে মূল মন্দির, গর্ভগৃহ, ভোগঘর, নাটমন্দির, শিব মন্দির, কুণ্ডপুকুর, মন্দিরের চাতাল-সহ ভিতর এবং বাইরের দেওয়াল, বলির জায়গা-সহ গোটা মন্দির চত্বর। পুরো কাজটাই হবে মন্দিরের ঐতিহ্য বজায় রেখে। আর এবার শোনা যাচ্ছে, সোনায় মুড়িয়ে দেওয়া হবে মন্দিরের চূড়া। ৫০ কিলো কিংবা তারও বেশি সোনা দিয়ে মোড়া হতে পারে মন্দিরের চূড়া। আর সেই কাজ সম্পন্ন হলে এক ধাক্কায় মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের ভিড় যে এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে সে নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। সবাই যে শুধু মন্দিরে পুজো দিতে আসবেন এমনই নয়, অনেকেই আসবেন সোনায় মোড়া চূড়া দেখতে। সেই চূড়ার ছবি পিছনে রেখে সেলফি তুলতে।