নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার দলের মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই সেই ইস্তফা গ্রহণ করল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। অর্থাৎ লোকসভা ভোটের আগে কুণালের সঙ্গে দুরত্ব তৈরির কাজ শুরু করে দিল তৃণমূল নেতৃত্ব।
শুক্রবার প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট। তারপর প্রকাশ্যে দলের কোনও কোনও নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তির্ষক মন্তব্য করেছিলেন কুণাল ঘোষ। প্রকাশ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। কুণালের এই আচরণকে যে দল ভালোভাবে নেয়নি, সেকথা এদিন বুঝিয়ে দিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। শুক্রবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হোয়াটস অ্যাপে রাজ্য সম্পাদক ও মুখপাত্র ইস্তফা দেওয়ার বার্তা পাঠিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। রাজ্য সম্পাদক পদে ইস্তফা গৃহীত না হলেও মুখপাত্র পদে কুণালের ইস্তফা গহীত হয়েছে বলে খবর। তৃণমূল সূত্রে খবর, কুণাল ঘোষ যেভাবে দলের প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে তোপ দেগেছেন, সেটা ভালোভাবে নেয়নি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কুণাল ঘোষ যেভাবে দল বিরোধী মন্তব্য প্রকাশ্যে করেছেন, সেই প্রবণতা যদি ছড়াতে থাকে, তাহলে তা তৃণমূলের পক্ষে মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তাই মুখপাত্র পদ থেকে যখন কুণাল ইস্তফার দেওয়ার জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তা গ্রহণ করতে দেরি করল না তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। সেইসঙ্গে দলের অন্যান্য নেতাদের বার্তা দেওয়া হল, তাঁরাও যেন দল বিরোধী বক্তব্য প্রকাশ্যে বলার আগে একবার চিন্তা করেন। এর আগে কুণাল ঘোষ মুখপাত্র থাকাকালীন তাঁকে সতর্ক করেছিল দল।