নিজস্ব প্রতিনিধি: দর্শনার্থী ও পর্যটকদের মন ভরাতে অভিনব উদ্যোগ নিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল(Victoria Memorial) কর্তৃপক্ষ। শতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ সোমবার, ৭ মার্চ থেকে সাধারণ মানুষের জন্য শুরু করল ‘নেচার ওয়াক’(Nature Walk) বা বনভ্রমণ। কলকাতার(Kolkata) এই স্থাপত্য মহানগরের নানান ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী। বহু শহরবাসীর রঙিন আবেগের সাক্ষী ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ১০০ বছর পেরিয়েও বাঙালির সপ্তাহান্তে সময় কাটানোর পাশাপাশি প্রেম করার সেরা ঠিকানা। প্রতি বছর শীতের মরসুমে ছুটির দিনগুলিতে আমজনতা যেমন এখানে ভিড় জমান, তেমনি সারা বছর ধরে ঢুঁ মারেন দেশ বিদেশের পর্যটকরা(Tourists)। তাই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কেবল স্মৃতিসৌধ হিসেবেই নয়, প্রকৃতিপ্রেমীদের সময় কাটানোর জন্যও অন্যতম সেরা ঠিকানা। কারণ এর বাগান বাহার।
ভিক্টোরিয়া মেমরিয়ালকে কেন্দ্র করে থাকা প্রায় ৫৭ একর বিস্তৃত বিশাল উদ্যানটি দর্শনার্থীদের কাছে ভীষণ ভাবেই প্রিয়। সেই উদ্যানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গাছকে আরও কাছ থেকে চেনা ও সেটির সম্পর্কে জানার সুযোগ এবার করে দিলেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ। এবার থেকে সাধারণ মানুষ ভিক্টোরিয়ার বাগানে থাকা বিভিন্ন গাছ চিনতে ও জানতে পারবেন। সপ্তাহের প্রথমদিন অর্থাৎ প্রতি সোমবার সাধারণ মানুষের জন্য আয়োজন করা হবে ‘নেচার ওয়াক’ বা বনভ্রমণ। এক ঘণ্টা করে এই বনভ্রমণ চলবে। এক দিনে ২৫ জন ব্যক্তি এই ‘নেচার ওয়াক’ বা বনভ্রমণে অংশ নিতে পারবেন। অংশ নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের আগে থেকে নথিভুক্ত করাতে হবে তাদের নাম। একজন প্রকৃতি বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বে ঘুরিয়ে দেখানো হবে ভিক্টোরিয়ার গোটা উদ্যানটি। প্রত্যেক মাসে যে কোনও একটি প্রজাতির গাছ বেছে নিয়ে তা বিশেষ ভাবে তুলে ধরা হবে এই ‘নেচারওয়াক’গুলিতে।
প্রায় ১০০ বছর ধরে নানা রকম গাছ লাগানো হয়েছিল ভিক্টোরিয়ার উদ্যানে। প্রায় ৬৩ প্রজাতির ১১২৩টি দেশি-বিদেশি গাছ রয়েছে এখানে। কোস্তারিকার জাতীয় বৃক্ষ থেকে আফ্রিকার শস্য গাছ— নানা চমক রয়েছে এই উদ্যানে। প্রতি বছর প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি নতুন চারাগাছ রোপণ করা হয় ভিক্টোরিয়ার বাগানে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষের বনভ্রমণ উদ্যোগের ফলে সেই জানা-আজানা গাছগুলি আরও ভাল করে চিনে নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।