নিজস্ব প্রতিনিধি: বড়দিন উপলক্ষে চলে ঘরসজ্জা। তাঁতে অবশ্যই থাকে ‘ত্রিসমাস ট্রি’। এই ট্রি আসলে দেবদারু গাছ। যিশুর খ্রিষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই ট্রি সাজিয়ে তোলা হয়। পাখি, মোমবাতি, ফুল ও আরও বাহারি রকমে জিনিস দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় এই গাছ। সঙ্গে রাখা থাকে হরেক রকমের উপহার। এই গাছে উপরে বসানো থাকে একটি তারা। এই তারা বেথেলেহেমে জন্ম নেওয়া যিশুখ্রিস্টের প্রতীক। তবে ক্রিসমাস ট্রি আসল বা কৃত্রিম দুইই হতে পারে, তবে যেটাই হোক সেটা হতে হবে দেবদারু গাছ।
তবে এই গাছ সাজানোর গল্প শুরু হয়েছে ইউরোপ থেকে। সাল ১৫১০ থেকে লাটভিয়ায় শুরু হয় ক্রিসমাস ট্রি’র বিক্রি। এরপর থেকেই আসতে আসতে গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ে দেবদারু গাছের ‘মহিমা’। প্রাচীনকালে শীতপ্রধান দেশের মানুষ পাইন বা দেবদারুগাছকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মনে করত। তখনকার মানুষের ধারণা ছিল, বাড়ির আঙিনায় চিরসবুজ এই গাছগুলো থাকলে ভূত-পেতনিসহ কোনো অশুভ শক্তি বাড়ির ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে পারে না!
তবে কি কারণে এই গাছকেই বেছে নেওয়া হয় সে বিষয়ে কোনও সঠিক তথ্য এখনও না পাওয়া গেলেও, অনেক দেশই আছে যেখানে ক্রিসমাস সেলিব্রেশনের ক্রিসমাস ট্রি পুড়িয়ে ফেলার রীতি প্রচলিত রয়েছে। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীর মানুষ এই ‘ক্রিসমাস ট্রি’কে শুভ মনে করেন।