নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সেজেগুজে বরের জন্য অপেক্ষায় পাত্রী। কনের বাড়ির লোকজনও বরযাত্রীদের স্বাগত জানাতে বাড়ির দোরগোড়ায় অপেক্ষা করছিলেন। আচমকাই বাড়ির সামনে এক সঙ্গে এসে থামল একাধিক ঘোড়ার গাড়ি আর পালকি। আর তাতে বরের পোশাকে হাজির অন্তত ৩০ জন। চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল কনের বাড়ির লোকজন। কে আসল বর তা খুঁজতে কালঘাম শীতেও কালঘাম ছুট তাঁদের। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ভিড়ের মধ্য থেকে হাজির হলেন আসল বর। ভালোয়-ভালোয় মিটে গেল বিয়ের অনুষ্ঠান। শুনতে অবাক হলেও এমন ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর পুরানো ঢাকায়।
গতকাল শুক্রবার পুরনো ঢাকার বাসিন্দা সুমাইয়া আক্তার রাত্রির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল নাজিরা বাজারের বাসিন্দা ওমর ফারুখের। নিজের বিয়ের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে মাথায় দুষ্টবুদ্ধি খেলে যায়। ২৯ জন বন্ধুকে তাঁর মতোই একই পোশাকে সাজার অনুরোধ জানায়। সেই সঙ্গে যাতে কনে বাড়ির লোককে কিছুটা বোকা বানানো যায় তার জন্য বেশ কয়েকটি ঘোড়ার গাড়ি ও পালকিও ভাড়া করে। আতশবাজি ফুটিয়ে ঘোড়ায় চেপে নাজিরা বাজার থেকে বাদশাহী ভঙ্গিতে কনে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে বরপক্ষ। কিন্তু কনে বাড়ির গেটে হাজির তরুণীরা এমন দৃশ্য দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়।
আসল বর কে বুঝতেই পারেননি তারা। নকল বরের ভিড়ে আসল বর খুঁজতে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় কনেপক্ষ। শেষ পর্যন্ত বিভ্রান্তি কাটাতে খানিক বাদে লাল শেরওয়ানি পরে আসল বর ওমর ফারুখ হাজির হন। ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে কনেপক্ষের। পাত্র ওমর ফারুক জানান, বিয়ের আয়োজনকে স্মরণীয় করে রাখতে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজনকেও কিছুটা অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলতে চেয়েছিলেন। সবটাই করেছেন মজার ছলে। স্বামীর এমন অদ্ভুত কাণ্ডে হতবাক কনে সুমাইয়া আক্তার রাত্রিও।