আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাধারণ মানুষের কাছে দায়বদ্ধতার তাগিদেই প্রাণের মায়া না করে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ইউক্রেনে হাজির হয়েছিলেন ওঁরা। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই যুদ্ধের প্রান্তর থেকে খবর পৌঁছে দিয়েছিলেন। কিন্তু ওঁরা নিজেরাই চলে এলেন খবরের শিরোনামে। প্রাণ দিয়েই চোকাতে হলো দায়িত্ব পালনের মূল্য। চলতি যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত যুদ্ধের ময়দানে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ছয় বিদেশি সাংবাদিক। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও আটজন। শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংগঠন প্রেস এমব্লাম ক্যাম্পেইন (পিইসি)।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সঙ্ঘাত চরমে পৌঁছতেই যুদ্ধের আঁচ পেয়ে কিয়েভে পৌঁছে গিয়েছিলেন অন্তত তিন হাজার বিদেশি সাংবাদিক। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের জাতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। মধ্যে পড়ে প্রাণ খোয়াতে হয়েছে ছয় জনকে। সবচেয়ে বেশি প্রাণ ঝরেছে ইরপিন শহরে। ওই শহরটিতে যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে তিন সাংবাদিক মৃ্ত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েছেন।
যুদ্ধের তিনদিনের মাথায় ২৬ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক হিসেবে প্রথম মারা যান সাকিরো ডিলারাবেক সুখোরোভিচ। খারসানে রুশ বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারান তিনি। তিনদিন বাদে পয়লা মার্চ কিয়েভের কাছে যুদ্ধের বলি হন আর এক সংবাদ কর্মী ইভেনি সাকুন। মার্চের চার তারিখে মাইকোলিভে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ভিক্টর দুদার। মার্চের ১৩ তারিখ ইরপিনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ এর সাংবাদিক ব্রেন্ট রেনড (৫২)। ইরপিন শহরের কাছে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে রুশ বাহিনী গুলিবর্ষণ করলে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। ব্রেন্ট বেঁচে না ফিরলেও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তাঁর সঙ্গী চিত্র সাংবাদিক হুয়ান আরেডন্ডো।
পরের দিন ১৪ মার্চ কিয়েভের উপকণ্ঠে রুশ বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম, ‘ফক্স নিউজের’ চিত্র সাংবাদিক পিয়েরে জাকর্জেভস্কি। আহত হন তাঁর সহকর্মী বেঞ্জামিন হল। ওইদিনই হোরেঙ্কাতে যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয় ওলেকজান্দ্রা ক্রুশিনোভার।