নিজস্ব প্রতিনিধি, প্রয়াগরাজ: খাবার দিতে কেন দেরি হল, এই নিয়ে মেয়ের সঙ্গে বাবার তুমুল তর্ক। মেয়ের জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় মাথায় রাগ চড়ে বসে। শেষ পর্যন্ত মেয়েকে খুনই করে দিল বাবা।
ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাপুরে। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম মহম্মদ ফরিয়াদ। জিভ কেটে খুন করেছে ২১ বছরের রেশমাকে। পুলিশ মহম্মদ ফরিয়াদের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। জেরায় ফরিয়াদ খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বিবৃতি উদ্ধৃত করে পুলিশ জানিয়েছে, আর কয়েদিন বাদে রেশমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় বাবা তাঁকে খাবার দিতে বলে। সামান্য দেরি হওয়ায় মহম্মদ ফরিয়াদের সঙ্গে রেশমার কথাকাটি শুরু হয়। তুমুল চিৎকার করতে থাকে।
বাবার ওই আচরণের প্রতিবাদ করলে মহম্মদ ফরিয়াদ হাতের কাছে ধাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে জিভ কেটে ফেলে। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে ঘটনাস্থলে রেশমার মৃত্যু হয়। মেয়ের চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে বাকিরা এসে দেখে মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত। রেশমার নিথর দেহ পড়ে রয়েছে।
ওই দৃশ্য দেখে বাকিরা চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সেখানে এসে মহম্মদকে গ্রেফতার করে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া। রেশমার ভাবী শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও এই খবর পেয়েছে। তারাও শোকে মূহ্যমান।
পুলিশ সুপার মুকেশ চন্দ্র জানিয়েছে, খুনের অভিযোগে মহম্মদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।