আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক আউন্স স্তনদুগ্ধের দাম এক ডলার। আর প্রতিদিনের বিক্রি ১১৮ লিটার। এমনই এক বিরল ঘটনার সাক্ষী আমেরিকা। অর্থের বিনিময়ে স্তনদুগ্ধ বিক্রি করেন আলিসা চিট্টি। ফক্স নিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে চিট্টি জানিয়েছেন, নানা সমস্যার কারণে মা হওয়ার পর মহিলারা তাদের সন্তানকে স্তনদুগ্ধ খাওয়াতে পারেন না। আবার তাদের কথা চিন্তা করেই এই অভিনব প্রকল্পের কথা মাথায় আসে।
ফক্স নিউজের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আলিসা চিট্টি জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি স্তনদুগ্ধ মিল্ক ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার কথা ভাবেন। কিন্তু সেটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই, নিজেই বাড়িতে ফ্রিজ কিনে স্তনদুগ্ধ জমাতে শুরু করেন। মহিলা খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। সেই বিজ্ঞাপন দেখে আমেরিকার বহু মহিলা আলিসার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি তাঁর এই কর্মযজ্ঞে অন্যান্য মহিলাদেরও সামিল হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
যদিও ফক্স নিউজের ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মহিলাকে অবিলম্বে স্তনদুগ্ধ বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়েছে, স্তনদুগ্ধ দাত্রীর শরীর-স্বাস্থ্য কেমন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ফলে, তার স্তনদুগ্ধ পান করে শিশুদের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। শিশুদের কথা চিন্তা করেই মহিলার ওপর স্তনদুগ্ধ বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল।
অ্যাবোট ল্যাবরেটরিজ তাদের বেবি ফুড পাউডার তৈরি বন্ধ করে দেওয়ায় আমেরিকায় সদ্যোজাতদের দুধ পান করাতে অসুবিধের মধ্যে পড়েন বহু মহিলা। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সঙ্গে অ্যাবোট ল্যাবরেটরিজের কথা হয়েছে। মিটে গিয়েছে সমস্যা। দ্রুত তারা কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন বিনা কারণে জেল খেটেছিল বিড়াল, ৯৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন মালিক